সিরিয়ায় ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব পাস
প্রকাশিত : ১১:২৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:২৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পরাশক্তিগুলোর সমঝোতার অভাবে কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হলো সিরিয়ায় ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব। যুদ্ধবিদ্ধস্ত অঞ্চলগুলোতে জরুরি ত্রাণ সরবরাহে, শনিবার রাতে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন আসে প্রস্তাবে।
তবে এখনও সিরিয়া পরিস্থিতির জন্য পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তি। এদের স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে অস্ত্রবিরতির ওপর ভোটাভুটি বারবার পিছিয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব পাস করলেও পারস্পরিক দোষারোপ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
তবে বড় বড় সরকার বিরোধী গোষ্ঠী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলো অস্ত্রবিরতির আওতায় পড়ছে না। ফলে অস্ত্রবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এরইমধ্যে ৫০০ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে। আর দুই হাজার ৩৩০ জনের বেশি মানুষের আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। এছাড়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা নিরুপন করা যায়নি বলেও জানন তারা।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয় আইএস, আল-কায়েদা ও আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে না।
খসড়ায় অন্যান্য গ্রুপকে অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানায় রাশিয়া। যারা ওই গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধেও অস্ত্রবিরতি চায় না দেশটি। এদিকে জাতিসংঘের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি জানিয়েছেন, তারা অস্ত্রবিরতি চান। তবে বাশার আল আসাদ সেটা মানবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এই রাষ্ট্রদূত।
এই পদক্ষেপ অনেক দেরী হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ফ্রান্সের প্রতিনিধি ফ্রাঁসোয়া দিলাত্রে। এই ব্যর্থতা জাতিসংঘেরই অবসান ডেকে আনতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, সিরিয়ায় এখন মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই খুব দ্রুতই সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু পূর্ব ঘৌটায় কাজ করলে হবে না। পুরো দেশে এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে বলে জানান নেবেনজিয়া।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
একে// এআর
আরও পড়ুন