ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের কথা শুনে কাঁদলেন নোবেল জয়ীরা
প্রকাশিত : ১৬:০৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৭:২২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের কথা শুনে কেঁদেছেন নোবেল জয়ী নারীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে তাদের কথা শোনে তারা কেঁদেছেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা জানতে সেখানে যান শান্তিতে নোবেল জয়ী তিন নারী।
নোম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, সকালে তাদের ওখানে এসেছেন নোবেল জয়ী তিন নারী। সেখানে পৌঁছে ধর্ষণের শিকার চার রোহিঙ্গা নারীর ওপর বর্বর নির্যাতনের কথা শোনেন এবং এ সময় তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসব কথা তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরবেন বলে রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করেন।
এর আগে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালীর তাজনিমারখোলা ক্যাম্প পরিদর্শন করে ক্যাম্পের সার্বিক অবস্থান এবং রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের খোঁজ খবর নেন তারা। এ সময় ধর্ষণ, নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেন নোবেল জয়ী ইয়েমেনের তাওয়াক্কল কারমান, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মেরেইড ম্যাগুয়ার ও ইরানের শিরিন ইবাদি।
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তারা বলেন, মিয়ানমারে যে গণহত্যা, জাতিগত নিধন, গণধর্ষণ ও শিশুহত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এ সংকট সমাধানে তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিরিন ইবাদি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গারা আজ পরবাসে জীবনযাপন করছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো যেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে মুসলিম দেশগুলো চুপ মেরে বসে আছে।
তিনি আরও বলেন, আজ এমন সংকটময় সময়ে মুসলিম দেশগুলো কোথায়? ইরান, সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত কোথায়? এসব প্রভাবশালী দেশ রোহিঙ্গা মুসলিমদের সেবায় আসছে না কেন?
তাওয়াক্কল কারমান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার প্রতিবাদ হিসেবে প্রথমে অং সান সুচির পদত্যাগ করা উচিত। তিনি যেহেতু শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একজন নারী, পাশাপাশি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর, তাই এর দায়ভার তিনি এড়াতে পারেন না।
মেরেইড ম্যাগুয়ার বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের যেভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে, এজন্য সুচি ও তার সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিৎ। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সসম্মানে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানাই।
এসএইচ/
আরও পড়ুন