‘আইএস-বাংলাদেশ’কে নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ২৩:১১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ইরাকের জঙ্গিসংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)-এর সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি একটি গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদেরকে বাংলাদেশে আইএসের শাখা দাবি করা ‘আইএস-বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন দেশের আরও ছয়টি সংগঠন এবং দুই ব্যক্তির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ফরেন অ্যাসেট কনট্রোল (ওএফএসি) আজ মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এসব সংগঠন এবং ব্যক্তির পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার কবলে পরা ব্যক্তিদের মধ্যে আছে নাইজেরিয়ার নাগরিক আবু মাসুদ আল বারনাওয়ি এবং সোমালিয়ার নাগরিক মাহাদ মোয়ালিম।
আর নিষিদ্ধ হওয়ার সাত সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর, ফিলিপাইন, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া এবং তিউনিশিয়া ভিত্তিক গোষ্ঠী রয়েছে। বাংলাদেশের সংগঠনটির নাম আইএসআইএস-বাংলাদেশ। আর বাকি দেশগুলোর গোষ্ঠীর নাম যথাক্রমে আইএসআইএস-মিশর, আইএসআইএস-ফিলিপাইনস, আইএসআইএস-সোমালিয়া, আইএসআইএস-পশ্চিম আফ্রিকা এবং আইএসআইএস-তিউনিশিয়া। এছাড়াও ফিলিপাইনের আরেক সংগঠন মট গ্রুপ বা ইসলামিক স্টেট অব লানাও-ও স্থান পেয়েছে এই তালিকায়।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসেট কনট্রোল বিভাগ জানায়, “আইএসকে প্রতিহত করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আগে ৭৫ জন নিষিদ্ধ ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন আইএসকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল”।
ঐ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আইএসের নিজস্ব স্বর্গকে ধ্বংস করা, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সদস্য সংগ্রহকে বাধাগ্রস্থ করা, আইএসের অর্থনৈতিক উৎসগুলো বন্ধ করা, ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মিথ্যা প্রচারণা এবং ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস মুক্ত এলাকায় নাগরিকদের পুনঃবসবাস ও শান্তি নিশ্চিত করতেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।”
ইসলামিক স্টেট এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেই চিহ্নিত। গত বছর ইরাক এবং সিরিয়ার বড় অংশের দখল থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় মার্কিন বাহিনী। তবুও দেশটির জন্য আইএসকে এখনও সবথেকে বড় হুমকি হিসেবেই দেখছে ওয়াশিংটন।
সূত্র: রয়টার্স
এস এইচ এস/টিকে
আরও পড়ুন