রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ইইউর
প্রকাশিত : ২৩:৫৭, ২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০৮:০৮, ৩ মার্চ ২০১৮
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সাথে এক বৈঠকে এ আশ্বাসের কথা জানান সংস্থাটির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ধৈর্য্য, উদারতা, সহমর্মিতা ও মানবিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে চলমান সংকট উত্তরণে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেয় ইউ। আর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো করতে সংস্থাটির কাছে জোরালো আহবান জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
বৈঠকে মোঘেরিনি জানান, সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইইউ।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নেওয়া দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগগুলো সম্পর্কে মোঘেরিনিকে বিস্তারিত জানান। নিরাপদ ও ফলপ্রসু প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির ওপর জোর দেন তিনি। বিশেষ করে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
একই বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদের অবস্থান নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
দেশগুলোতে অনুমোদন ছাড়া অবস্থান করা বাংলাদেশিদের চিহ্নিত ও ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও ইউ-এর মধ্যে থাকা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকের আলোচনায় এই বিষয়ে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
এছাড়া দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে প্রায় পৌনে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এসব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে এক প্রত্যাবাসন চুক্তিও সম্পন্ন হয়। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশের সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পরতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যে নিরাপদ পরিবেশ মিয়ানমারের প্রস্তুত করা উচিত সেই দায় এড়িয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। এমন পরিস্থিতিতে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় নো-ম্যানস ল্যান্ড তমব্রুতে অবস্থান করছে আরও ৬৫০০ রোহিঙ্গা।
এসএইচএস/টিকে
আরও পড়ুন