ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি
প্রকাশিত : ১৮:১৪, ৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৬, ৩ মার্চ ২০১৮
আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচনে জিতলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দেশছাড়া করবেন। নির্বাচনে ম্যারাথন জয়ের পর সেই ধার আরও বাড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। এবার তাকে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিজেপির এক নেতা।
আজ ত্রিপুরার নির্বাচনে বিজেপির ম্যারাথন জয়ে টালমাটাল গোটা রাজ্যের রাজনীতি। প্রায় ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাম সরকারকে এক ঝটকায় উড়িয়ে দিলো বিজেপি। এমন জয়ের পরই দলটির এক নেতা দেশটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক লাল সরকারকে বাংলাদেশে চলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) গেরুয়া ঝড়ে বিধ্বস্ত রাজ্যের রাজনীতি। শনিবার রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজেপির মাথায় উঠছে রাজ্যের মুকুট।
প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নীতি-নির্ধারক হীমান্ত বিশ্ব শর্মা মুখ্যমন্ত্রী মানিক লাল সরকারকে রাজ্য ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ অথবা দক্ষিণের অঞ্চল কেরালায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। ১৯৯৮ সাল থেকে ত্রিপুরা শাসন করছেন ৬৯ বছর বয়সী এই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সিপিআই-এমের পলিটব্যুরোর সদস্য এবং রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলেন টানা চার বার।
বিজেপি নেতা হীমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘মানিক সরকারের সামনে মাত্র তিনটি পথ খোলা আছে। তিনি এখন চাইলে পশ্চিমবঙ্গ যেতে পারেন, যেখানে সিপিআই-এমের একটু উপস্থিতি আছে। তিনি কেরালায় যেতে পারেন, যেখানে দলটি এখনো ক্ষমতায় আছে। অথবা তিনি প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারেন।
বিধানসভার নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখমন্ত্রী মানিক লাল সরকারকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজেপির এই নেতা। ৬০ আসনের ত্রিপুরার বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ৩১ আসন প্রয়োজন। শনিবারের ফলাফলে রাজ্যের আদিবাসীদের রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা’র (আইপিএফটি) সঙ্গে জোট বেঁধে গেরুয়া ঝড় তুলেছে বিজেপি। বিজেপি-আইপিএফটি জোট জয় পেয়েছে ৪১ আসন। ৩৪ আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। অন্যদিকে বামফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ১৮ আসন।
এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে ৫৫ আসনের ৪৯টিতেই জামানত হারিয়েছিল বিজেপি। আর ৪৯ আসনে জয় লাভ করে রাজ্য ক্ষমতায় চতুর্থবারের মতো বসেছিলেন মানিক লাল সরকার।
সূত্র: এনডিটিভি
এমজে/
আরও পড়ুন