ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

চীনে সামরিক খাতে বরাদ্ধ ১.১ ট্রিলিয়ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৮, ৫ মার্চ ২০১৮

চীন বরাবরই সামরিক খাতে অতিরিক্ত বরাদ্ধ দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পছন্দ করে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। চলতি বছর ১.১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের (১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাজেট ঘোষণা করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

গত বছরের তুলনায় এ বছর ৮ শতাংশ বাড়িয়ে এ বৃহৎ বাজেট ঘোষণা করেছে চীনা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি)। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং সংসদ অধিবেশন চলাকালে এ বাজেট ঘোষণা করেন। এদিকে অর্থনীতিতে এ বছর আরও ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে বলেও আশা করেন তিন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্ধারিত দুই মেয়াদের যে সময়সীমা আছে, তাও রদ করতে যাচ্ছে এনপিসি। এনপিসি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে এবারই প্রথম তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে দেশটি।

এদিকে এনপিসিকে রাবারস্ট্যাম্প (ছায়া সংসদ) বলা হয়ে থাকে। এর কারণ সংসদে না থাকলেও এনপিসির সব সিদ্ধান্ত আছে চীনা কম্যিউনিস্ট পার্টি থেকে। চীনে কম্যিউনিস্ট পার্টির-ই কেবল ৩ হাজার সংসদ সদস্য রয়েছে। ৩ হাজার সদস্য হলেও মূলত কম্যিউনিস্ট পার্টি থেকেই তারা নির্বাচিত।

এদিকে এনপিসি জানিয়েছে, তারা চলতি বছর তিনটি বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর রাখছে। চীনের অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস, বায়ু দূষণ দূরীকরণ এবং দারিদ্রতা দূরীকরণই তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সংসদে দেওয়া উদ্বোধনী বক্তব্যে লি চীনের এ বাজেট ঘোষণা করেন। জাতীয় নিরাপত্তায় ব্যপক পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশের সেনাদের তৈরি করতে হবে। তাদেরকে পাথরের মতো শক্তিশালী করতে হবে। তাই এই বাজেট ঘোষণা করা হলো।

বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এবং হিমালয় এলাকায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছে। মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন আধিপত্য রুখতেই দেশটি বড় ধরণের বাজেট দিয়েছে। এরই মধ্যে খবর বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে যুদ্ধ বিমানের বহর পাঠিয়েছে। অন্তত মার্কিনিদের রুখতে হলেও চীনকে বড় বাজেট দিতে হবে বলে মনে করেন লি কেকিয়াং।

সূত্র: সিনহুয়া
এমজে/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি