ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

রুশ গুপ্তচর হত্যাচেষ্টায় ‘নার্ভ এজেন্ট’ প্রয়োগের অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৯, ৮ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩৩, ৮ মার্চ ২০১৮

ব্রিটেনের পুলিশ বলছে, সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টায় স্নায়ুকে আঘাতকারী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। ওই রুশ গোয়েন্দা ও তার মেয়েকে রোববার একটি পার্কে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে এবং এতে দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত মুখ অথবা নাক দিয়ে এই রাসায়নিক দেহে প্রবেশ করানো হয়। তবে চোখ বা ত্বক তা শোষণ করতে পারে।

কাউন্টার টেররিজম পুলিশিং ইউনিটের প্রধান মার্ক রাউলি বলেছেন, সরকারি বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন যে তাদের ক্ষেত্রে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে এ পর্যায়ে তারা খবরটিকে উন্মুক্ত করতে চান না। তিনি জানান, বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে `হত্যাচেষ্টার` সন্দেহ করা হচ্ছে।

২০০৬ সালে লন্ডনে রাশিয়ার আরেকজন গুপ্তচর আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল।

নার্ভ এজেন্ট সাধারণভাবে `ক্রিমিনাল গ্যাং` বা `সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো` তৈরি করতে পারে তেমনটি নয়। বিশেষ গবেষণাগারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এই রাসায়নিক উৎপাদন করা হয়।

তবে স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার জন্য অবশ্যম্ভাবীভাবে সন্দেহের তীর রাশিয়ার দিকে। কারণ তাদের শত্রুদের বিষ প্রয়োগে হত্যার রেকর্ডই শুধু নয়, সের্গেই স্কিপ্রালের ঘটনার সঙ্গে অন্য মোটিভও আছে।

রাশিয়ার একজন সামরিক গোয়েন্দা হিসেবে নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইউরোপে রুশ এজেন্টদের সম্পর্কে স্ক্রিপালের বিরুদ্ধে এমআইসিক্সকে তথ্য দেঞয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ দিন আগে যে দোকানে ৬৬ বছর বয়সী স্ক্রিপাল ও তার ৩৩ বছর বয়সী মেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে।

রাউলি জানান, কয়েকশ` গোয়েন্দা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে এর তদন্ত শেষ হতে আরও ক`দিন লেগে যাবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি