ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিল সর্বোচ্চ আদালত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৫, ৯ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২৭, ৯ মার্চ ২০১৮

ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের এক আদেশে দেশটিতে বৈধতা পেল স্বেচ্ছামৃত্যু। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এক বেঞ্চ থেকে আজ শুক্রবার এ আদেশ দেওয়া হয়।

ভারতের কমন কজ নামক একটি এনজিও’র করা রিট নিষ্পত্তির শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় আদালত। আদালতের এমন আদেশের ফলে স্বেচ্ছামৃত্যুতে আর কোন বাঁধা থাকল না। তবে স্বেচ্ছামৃত্যু কার্যকরে কয়েকটি কঠোর শর্ত পূরণেরও আদেশ দিয়েছে ঐ বেঞ্চ।

শর্তগুলো হল-

১) নিরাময় অযোগ্য অসুস্থ রোগীরাই কেবল স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

২) যিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করবেন জীবিত থাকা অবস্থায় তাকে তা লিখিত উইল করে যেতে হবে। সে উইলে এও লিখিত থাকতে হবে যে, অসুস্থ অবস্থায় তিনি কৃত্তিম লাইফ সাপোর্টেও থাকতে চান না।

৩) তবে রোগী যদি উইল করে রেখে যেতে না পারেন তাহলে তার অবর্তমানে ঐ রোগীর নিকট আত্মীয়রা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের জন্য গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। চিকিৎসক যদি স্বেচ্ছামৃত্যুর সুপারিশ না করেন তাহলে তার আত্মীয়রা আর এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন না।

পাশাপাশি যার বাচার সম্ভাবনা রয়েছে তাকে স্বেচ্ছা মৃত্যুতে বাধ্য করা যাবে না। আবার যিনি স্বেচ্ছামৃত্যুতে যেতে চান না তাকেও জোর করে এটা করানো যাবে না।

ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ হলেও ভারতে বেশ কয়েক বছর যাবত এ নিয়ে বিতর্ক চলছিল। প্রথম আলোড়ন তৈরি হয় যখন অরুণা শেনবাগ নামের এক নারী স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য আবেদন করেন।

১৯৭৩ সালে ধর্ষণের শিকার হয়ে কোমায় আক্রান্ত ছিলেন এই নারী। ৪২ বছর পর ২০১৫ সালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।  ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট অরুণাকে জোর করে খাওয়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতেও মুম্বাইয়ের নারায়ণ (৮৬) এবং ইরাবতি (৮০) নামের এক প্রৌঢ দম্পতি স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছিলেন। 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

//এস এইচ এস//টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি