ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৬, ১২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪১, ১২ মার্চ ২০১৮

২০১৪ সালে যাত্রীবাহী একটি বিমান গুলি করে নিচে নামিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সুচি শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল পুতিনের। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

রাশিয়ায় দুই ঘণ্টার করা এক ডকুমেন্টারিতে পুতিন দাবি করেন, ইউক্রেন থেকে আঙ্কারাগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান হাইজ্যাক হয়েছে, এমন খবর আসে আমার কাছে। শুধু তাই নয়, ওই বিমানে বোমা আছে এবং তা সুচি অলিম্পিককে লক্ষ্য করে এগিয়ে আসছে এমন খবর আসে আমার কাছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি বলি, গুলি ছুঁড়ে বিমানটিকে নিচে নামিয়ে দাও। আর এ ধরণের প্রথাই আমাদের বিমান পরিচালনা আইনে রয়েছে।

নতুন ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে পুতিন দাবি করেন, ‘ওই বিমানে ১১০ জন যাত্রী ছিল। তুর্কী এয়ারলাইনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার দিকে যাচ্ছিল। তবে একজন যাত্রী বোমা বহন করছিল বলে প্রথমে আমরা তথ্য পাই। ওই বোমাবাহী সবাইকে জিম্মি করে বিমানটিকে সুচির দিকে নিয়ে আসছিল। এরপরই বিমানটিকে নিচে নামিয়ে ফেলার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

তবে কিছুক্ষণ পরও জানা যায়, ওই সতর্কবার্তাটি ছিল একটি ভুয়া সতর্কবার্তা। এরপর আর বিমানটিকে গুলি মেরে নিচে নামানো হয়নি। পরে জানা যায়, বিমানটি নিরাপদে আঙ্কারার দিকে রওয়ানা হয়। এরপরই সুচির ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিই আমি।’

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পুতিনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে পুতিনকে ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তাদের কেউই ভোটারদের টানতে পারছেন না।

এদিকে পুতিনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত অ্যালেক্সি নাভানলিকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত। অনেকের ধারণা, সর্বোচ্চ আদালতকে ব্যবহার করে পুতিন নাভানলিকে বসিয়ে দিয়েছেন। তাই আবারও দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন পুতিন।

সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি