স্টিফেন হকিং আর নেই
প্রকাশিত : ১০:১৪, ১৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৪, ১৪ মার্চ ২০১৮
বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন উইলিয়াম হকিং আর নেই। স্থানীয় সময় গতকাল রাতে ৭৬ বছর বয়সে কিংবদন্তি এই বিজ্ঞানী মারা যান। তার পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে হকিংয়ের সন্তান লাকি, রোবার্ট ও টিম জানান, আজ (বাংলাদেশ সময় ) সকালে তাদের পিতার জীবনাবশান হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমাদের পিতা আজ সকালে মারা যাওয়ায় আমরা গভীর শোকাগত। তিনি একজন মহান বিজ্ঞানী ও অসাধারণ মানুষ ছিলেন। যার কর্ম ও উত্তারাধিকার অনেক বছর ধরে বেঁচে থাকবে। তার সাহস, প্রতিভার সঙ্গে মিলে থাকা অধ্যবসায় ও রসবোধ বিশ্বজুড়ে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছে।
ব্লাক হোল ও আপেক্ষিকতা নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। ব্রাইফ হিস্টরি অব টাইম্সসহ অসংখ্য বিজ্ঞানের বই লিখেন তিনি।
হকিং ১৯৪৮ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং ছিলেন জীববিজ্ঞানের গবেষক আর মা ইসাবেলা ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী। উত্তর লন্ডনের এই পরিবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্সফোর্ডে আসে। ছেলেবেলা থেকেই হকিংয়ের আগ্রহ ছিল বিজ্ঞান আর গণিতে।
মাত্র ২১ বছর বয়সে হকিং মোটর নিউরন নামে এক জটিল রোগে আক্রান্ত হন। পরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে হুইলচেয়ারেই জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটান। মুখের পেশির নড়াচড়ার মাধ্যমে কম্পিউটারে তৈরি করা স্বরে তিনি অর্থপূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ করতেন। সব শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে তিনি সৃষ্টিতত্ত্ব ও আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে বিকাশিত করেন।
মানুষের মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে নানা কথা চালু থাকলেও হকিং মনে করতেন, এ শুধুই রূপকথা। সেই রূপকথার জগতেই ঠাঁই নিলেন এই বিজ্ঞানী।
সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে ‘কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ গ্রন্থটি শারিরিক প্রতিবন্ধী এই বিজ্ঞানীকে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তোলে। এ বইটি সারাবিশ্বে কয়েক কোটি বিক্রি হয়। তিনি প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ান্স পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার, উলফ পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদক অর্জন করেছিলেন।
আরও পড়ুন