যে কারণে টিলারসনকে বাদ দিলেন ট্রাম্প
প্রকাশিত : ১১:৩৮, ১৪ মার্চ ২০১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করে গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পিওকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। কেন হঠাৎ করে টিলারসনকে বাদ দিলেন ট্রাম্প-এ নিয়ে চুলচেলা বিশ্লেষণ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং উত্তর কোরিয়া সহ বেশ কিছু বিদেশ নীতি নিয়ে তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মতদ্বৈততা চলছিলো।
গতবছরের জুলাইতে খবর বেরোয়, টিলারসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গর্দভ বলেছেন। এবং সে কথা কখনও অস্বীকার করেননি তিনি। তবে গতবছরের অক্টোবরে তার পদত্যাগের গুজব ওঠার পর এক সংবাদ সম্মেলন করে তাকে তা অস্বীকার করতে হয়েছিলো।
সে সময় প্রেসিডেন্টও খোলাখুলি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপদস্থ করার চেষ্টা করেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মীমাংসা বৈঠকের চেষ্টা করে টিলারসন তার সময় নষ্ট করছেন।
মার্কিন সংবাদপত্রগুলো লিখেছে, পররাষ্ট্র বিষয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে টিলারসন বিস্ময় প্রকাশ করতেন। বিভিন্ন বৈঠকে টিলারসনের মুখভঙ্গি বা শরীরী ভাষা নিয়ে বিরক্ত হতেন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হলে, টিলারসন চোখ বড় করে ফেলতেন অথবা চেয়ারে গা এলিয়ে দিতেন।
টুইটারে এক বার্তায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতানুগতিকভাবে টিলারসনের কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দারুণ কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, বছর-খানেক আগে জ্বালানি কোম্পানি এক্সন মবিলের সাবেক প্রধান নির্বাহী রেক্স টিলারসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনিই সবচেয়ে কম সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকলেন।
সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পিও নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়ায় সংস্থাটির পরিচালক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে জিনা হ্যাসপেলকে। এই প্রথম কোনো নারী সিআইএর প্রধান হচ্ছেন।
জানা গেছে, উত্তর কোরিয়া বা ইরান ইস্যুতে মাইক পম্পিও অধিকতর কট্টরপন্থী। ফলে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরের মতপার্থক্য কমবে বলে ধারনা করছেন পর্যবেক্ষকরা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাজনীতির শিক্ষক ড আলী রিয়াজ বিবিসিকে বলেন, পম্পিওর নিয়োগের পর মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি অনেক বেশি কঠোর হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
একে// এআর
আরও পড়ুন