ছবিতে হকিংয়ের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত
প্রকাশিত : ২০:০০, ১৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৭, ১৪ মার্চ ২০১৮
স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা রা থাকলেও অসাধারণ সব গবেষণা করেছেন স্টিফেন হকিং। ব্ল্যাক হোল, আপেক্ষিকতা ও মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি নিয়ে গবেষণার কারণে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। ২১ বছর বয়সে স্টিফেন হকিংয়ের মোটর নিউরন রোগটি ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তিনি আর মাত্র দুই বছর বাঁচবেন।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বেঁচে থাকা এ পদার্থবিজ্ঞানী আজ বুধবার ৭৬ বছর বয়সে চিরপ্রস্থান করলেন। এই উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে, ৮ জানুয়ারি ১৯৪২ সালে। পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় স্টিফেন হকিংকে।
ছবিতে হকিংয়ের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হলো-
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে স্টিফেন হকিং, জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি- ১৪ মে, ২০০৮ ।
স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে ফেস্টিভ্যালে বক্তৃতা দেন স্টিফেন হকিং। ছবি- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
রয়্যাল অপেরা হাউসে বাফটা ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে স্টিফেন হকিং এবং তার সাবেক স্ত্রী জানে হকিং (বায়ে) ও মেয়ে লুসি হকিং (ডানে)। ছবি- ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫।
স্টিফেন হকিং মহাশূন্যে ভরশূন্য অবস্থায় থাকার অভিজ্ঞতা নেন। ছবি- ২৬ এপ্রিল, ২০০৭।
নাসার ৫০ বছর পূর্তিতে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হোয়াই উই শোড গো ইনটু স্পেস’ শিরোনামে বক্তৃতা দেন হকিং এবং তার মেয়ে। ছবি- ২১ এপ্রিল, ২০০৮।
ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের সাথে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। ছবি- ২৮ নভেম্বর, ২০১৬।
সেন্ট বারনাবাস গির্জায় বিয়ের পর নববধূ স্ত্রী ইলেইন ম্যাসোনের সাথে স্টিফেন হকিং। এটি হকিংয়ের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ছবি- ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬।
নোবেল বিজয়ী চিলির পাবলো নেরুদার বই দেখছেন স্টিফেন। ছবি- ১৭ জানুয়ারি, ২০০৮ (সান্তিয়াগো, চিলি)।
স্পেনের গিজন শহরের উত্তরাঞ্চলে সান লরেঞ্জো সৈকতে স্ত্রী ইলেইনের সাথে। ছবি- ১০ এপ্রিল, ২০০৫।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ মেডেল পরিয়ে দেন স্টিফেন হকিংয়ের গলায়। ছবি- ১২ আগস্ট, ২০০৯।
দাতব্য সংস্থা লিওনার্ড চেশায়ার ডিজঅ্যাবিলিটির এক অনুষ্ঠানে স্টিফেন হকিংয়ের সাথে রানি এলিজাবেথ। ছবি- ২৯ মে, ২০১৪।
বৈজ্ঞানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ও বিজ্ঞানের প্রসারে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন, তাদের নিজের নামে পদক দেওয়ার ঘোষণা দেন হকিং। ছবি- ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টিফেন হকিংয়ের সাথে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ছবি- ৭ অক্টোবর, ১৯৯৭।
হংকংয়ের বিমানবন্দরে স্টিফেন হকিং-কে স্বাগত জানায় একঝাঁক শিশু। ছবি- ১২ জুন, ২০০৬।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই সাইটেশন পড়ে স্টিফেন হকিংয়ের গলায় ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ মেডেল পরিয়ে দেন। ছবি- হোয়াইট হাউস, ১২ আগস্ট, ২০০৯।
বিশ্ববিখ্যাত এই বিজ্ঞানীর জীবনী নিয়ে ‘হকিং’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়। কেমব্রিজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনের রাতে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। ছবি- ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩।
হকিংয়ের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘দ্য থিওরি অব এভরিথিং’। তার ষাট থেকে আশির দশক সময় পর্যন্ত জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। এতে হকিং চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিটিশ অভিনেতা এডি রেডমেইন (ডানে)। ছবিতে হকিংয়ের প্রথম স্ত্রী জেন ওয়াইল্ড হকিং চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ফেলিসিটি জোনসকে (বাঁয়ে)। ছবি- ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স
আর
আরও পড়ুন