ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

যৌনকর্মীর সঙ্গে টাকা নিয়ে ঝামেলায় আটক পুলিশ কর্মকর্তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০০, ১৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫২, ১৫ মার্চ ২০১৮

মধ্যরাতে যৌনকর্মীদের হোটেলে আনা, তাদের টাকা না দেওয়া, ধরা পড়ার পর পুলিশের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি। নানা অভিযোগ উঠল খোদ দুই পুলিস কর্তার বিরুদ্ধেই। বুধবার রাতে বেনিয়াপুকুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গুজরাত পুলিশের অফিসারকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। আটক হন গুজরাতের এক ব্যবসায়ীও।

গণ্ডগোলের সূত্রপাত হোটেলে যৌনকর্মী নিয়ে যাওয়া নিয়ে। রয় অলক সুকুমার , দীপক কে দয়ানি এবং তারক চন্দ্র বালানি। ৩ জন ওঠেন বেকবাগানের একটি হোটেলে। এদের মধ্যে অলক নিজেকে গুজরাত পুলিশের ডিএসপি বলে দাবি করেছেন। দীপক গুজরাতেরই ব্যবসায়ী।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ অলক ও দীপক হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন। রাত এগারোটা নাগাদ হোটেলে ফিরে আসেন দুজন। তাদের সঙ্গে গাড়িতে দুই নারী ছিলেন বলে অভিযোগ। তা দেখে সন্দেহ হয় হোটেলকর্মীদের। অলক ও দীপক দুই নারীকে নিয়ে লিফটে উঠতেই হোটেলকর্মীরা বাধা দেন। শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। ক্ষোভ ঝাড়েন দুই নারীও। বেনিয়াপুকুর থানায় যোগাযোগ করেন তারা। পুলিশকে দুই নারী জানান, তারা পেশায় সোনাগাছির যৌনকর্মী। ১০ হাজার টাকা করে দেবে বলে তাদের হোটেলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেই টাকা দেওয়া হয়নি। এমনকি ট্যাক্সিভাড়াও মেটানো হয়নি। অভিযোগ পেয়ে হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অলক ও দীপক দয়ানিকে আটক করা হয়।

কলকাতা পুলিশের অফিসারদের সঙ্গে এরপর আরও গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন অলক সুকুমার। অভিযোগ, গাড়িতে যাওয়ার সময় বেনিয়াপুকুর থানার অফিসারদের চমকাতে থাকেন তিনি। দাবি করেন তিনি আইপিএস। বেনিয়াপুকুর থানার বড়বাবুর সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন অলক।

অভিযোগ, পিএমও-তে চিঠি লিখে ওসির চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেন অলক। শেষমেশ আটক করে পুলিশ। অলক সুকুমারের কাছ থেকে একটি কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তাতে আইপিএস অফিসারের পরিচয় রয়েছে। কার্ডটি আসল কিনা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

তথ্যসূত্র: ২৪ ঘণ্টা।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি