ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

১৫ বছর আগেই স্টিফেন হকিং-কে মেরে ফেলতাম: বিজ্ঞানী সারা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৫, ১৫ মার্চ ২০১৮

পদার্থ বিজ্ঞানের প্রাণ-পুরুষ বলা হত স্টিফেন হকিংসকে। কৃষ্ণবস্তুর তত্ত্ব আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন তিনি। একই সাথে মানবসভ্যতা কীভাবে এবং কবে ধ্বংসের মুখোমুখি হবে, সে বিষয়ে ভয়ংকর কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন হকিং।

বিখ্যাত পদার্থবিদ বুধবার ৭৬ বছর বয়সে কেমব্রিজে নিজের বাড়িতে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। স্টিফেন হকিং-এর মৃত্যুর পরই গোপন তথ্য প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানী সারা পারকক। তার করা এক টুইটে বলা হয়, আমি ১৫ বছর আগেই মেরে ফেলতে গিয়েছিলাম তাকে।

যৌবন থেকেই স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন হকিং। এর ফলে বাকি জীবনটাই তার কেটেছে হুইল চেয়ারে। কিন্তু এ সমস্যা তার বিজ্ঞান মনস্কতাকে রুখতে পারেনি। চেয়ারে বসেই ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য নিয়ে গবেষণায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন। বিশেষ করে যে কোনো জটিল বিষয়কে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়াই ছিল তার অন্যতম কৃতিত্ব।

এ নক্ষত্রকে ১৫ বছর আগেই নাকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলেন সারা পারকক। কিন্তু কেন? কী হয়েছিল সেদিন?

ওই টুইটে সারা পারকক জানান, ১৫ বছর আগে একদিন কেমব্রিজের একটি রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে ফিরছিলেন তিনি। ওই সময় রাস্তার দু`পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্ক করা ছিল। এসময় হঠাই দুটি গাড়ির মাঝখান দিয়ে হকিং-এর হুইলচেয়ার গড়িয়ে রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। তখন যথেষ্ট গতিতে ছিল সারার মোটর সাইকেলটি। ইমার্জেন্সি ব্রেক চেপে দাঁড়ান তিনি। সেদিন প্রাণে বেঁচে যান হকিং। সারা বলেন, এই ঘটনা আমার কোনো দোষ ছিল না। পুরো দোষটাই ছিল হকিং-এর।

তার এই টুইট ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়াতে সাড়া ফেলেছে। তার টুইটের উত্তরও দিয়েছেন অনেকে।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি