অস্ত্র কিনছে সৌদি, শতকোটি ডলার ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রে
প্রকাশিত : ১২:১৬, ২১ মার্চ ২০১৮
ইরানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে শত কোটি ডলারের অস্ত্র কিনছে সৌদি-আরব। এতে একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রে শত শত কোটি ডলার ঢুকছে, অন্যদিকে প্রায় ৪০ হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠককালে ট্রাম্প বলেন, সৌদি অস্ত্র ক্রয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রও লাভবান হচ্ছে। এসময় ট্রাম্প বলেন, সৌদি অস্ত্র ক্রয়ের ফলে শত শত কোটি ডলার ঘরে ফেরাতে সমর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অস্ত্র ব্যবসায় ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েজ অব আমেরিকা ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। সৌদি আরবকে মার্কিন অস্ত্রের `বড় ক্রেতা` আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শত শত কোটি ডলার উপার্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশ।
ট্রাম্প ও যুবরাজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর অর্থায়ন বিষয়ে কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই অনুমোদন করা হবে না। সন্ত্রাসবাদের কারণে যেকোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে’। ট্রাম্প সন্ত্রাসীদের অর্থ যোগান বন্ধে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে’।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ওয়াশিংটনের বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও রাজস্বমন্ত্রীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সদস্যরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককালে সালমান ইয়েমেন ও কাতার ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ করায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় সালমান। সালমান বলেন, ইয়েমেন আমরা সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করেছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহায়তা করেছে। তাই দেশটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, নিউইয়র্ক টাইমস
এমজে/
আরও পড়ুন