মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগে সু চির লাভ কতটা
প্রকাশিত : ১৬:০১, ২১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৬:০২, ২১ মার্চ ২০১৮
মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি টিন চ পদত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্টের ফেসবুকে পাতায় অবশ্য বলা হয়েছে তিনি বিশ্রামে যাচ্ছেন। সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই দিনগুলো প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে। বেশ কিছুদিন যাবত ৭১ বছর বয়সী টিন চ স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। কাছাকাছি সময়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে খুব দুর্বল অবস্থায়।
২০১৬ সালে ঐতিহাসিক এক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন টিন চ। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা সেনা শাসনের অবসান হয়। তবে সেটিকেও কাগজে শুধু কলমে অবসান বলে মনে করা হয়। সেই অর্থে প্রেসিডেন্ট হিসেবে টিন চ`র তেমন কোন ক্ষমতা ছিল না। দীর্ঘ দিনের বিরোধী নেত্রী অং সান সু চিকে বলা হতো `ডি ফ্যাক্টো` নেতা। তবে তার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোন উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে অং সান সু চি`র উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির সংবিধানে এমন একটি ধারা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে বার্মিজ কারো সন্তান যদি অন্য দেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এমন দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
অনেকেই মনে করেন সু চিকে এমন ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতেই ইচ্ছা করে সংবিধানে এমন ধারা রাখা হয়েছে। অং সাং সু চি একজন প্রয়াত ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। মিস্টার টিন চ ছিলেন অং সান সু চি`র দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু ও উপদেষ্টা। তিনি সবসময় কথা খুব কম বলতেন। তবে তাকে সবসময় সু চির খুব নির্ভরযোগ্য একজন সহযোগি বলে মনে করা হয়।
অং সান সু চি`র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছে। বিশেষ করে রাখাইনে প্রদেশে। সেনা অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে অং সান সু চি ও তার দল।
সূত্র : বিবিসি।
/ এআর /
আরও পড়ুন