ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা

দায় স্বীকার ইসরাইলের, ইরানকে সতর্ক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২২, ২১ মার্চ ২০১৮

২০০৭ সালে সিরিয়ার একটি স্থাপনায় বিমান হামলার কথা সর্বপ্রথম স্বীকার করল ইসরাইল। তবে ইসরাইলের দাবি ঐ স্থাপনাটি মূলত একটি পারমাণবিক চুল্লি ছিল। হামলার স্বীকারোক্তির পাশাপাশি ইরানের প্রতিও কড়া সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে তেল আবিব।

২০০৭ সালে সন্দেহভাজন ঐ পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা হলেও এতদিন বিষয়টি গোপন রাখে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইজরায়েল।

স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের পাশাপাশি ইরানের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কথা চিন্তাও না করে সে বিষয়েও সতর্ক করে ইসরাইল। তবে ইসরাইলের এমন মন্তব্যে তেহরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায় নি।

পূর্ব সিরিয়ার ডেইর-আল-জোর এলাকার ঐ স্থাপনাটির নাম আল-কুবার ফ্যাসিলিটি। ২০০৭ সালের ৬ সেপ্টম্বর সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়। বিমান হামলার সময় পাইলটের ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজের স্থিরচিত্রও প্রকাশ করে তেল আবিব।

ইসরাইলের দাবি, উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতা নিয়ে সিরিয়া এই পারমাণবিক স্থাপনাটি নির্মাণ করছিল। সেখানে হামলা করা না হলে কয়েক মাসের মধ্যেই স্থাপনাটি তাদের চুল্লির কার্যক্রম শুরু করত।

সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইরান এবং সিরিয়ান মিত্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার লাগাতার দাবির মুখেই ইসরাইল সিরিয়ায় এই হামলার বিষয়টি প্রকাশ করল।  

ইসরাইলের গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড বিষয়ক মন্ত্রী ইজরায়েল কাটস এক টুইট বার্তায় বলেন, “হামলাটির সফলতা এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যে, ইসরাইল এমন কারও হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে দেবে না যারা ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আগে সিরিয়া এ হুমকি ছিল, এখন ইরান”।

হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ইসরাইলি সামরিক দপ্তর থেকে জানানো হয়, এফ-১৬এস এবং এফ-১৫এস এর আটটি বিমানের বহর এই হামলায় অংশ নেয়। ইসরাইলের রামন এবং হাটজেরিম বিমান ঘাঁটি থেকে বিমানগুলো উড্ডয়ন করে। হামলায় ৮ টন গোলা বর্ষণ করা হয়।

৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটায় এই হামলার কার্যক্রম শুরু হয় এবং মধ্যরাত পেরিয়ে রাত আড়াইটায় এটি শেষ হয়।

এ হামলার বিষয়ে সেসময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ অবগত ছিলেন নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন তিনি। সেসময়ের ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট তাকে বিমান হামলার আগে জানালে তিনি (বুশ) ‘সবুজ সংকেত’ দেননি। তবে এই হামলার পক্ষে তিনি ছিলেন বলে আজ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেন বুশ প্রশাসনের উপ জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জেমস জেরেফি।

তিনি বলেন, “আমরা খুবই খুশি ছিলাম যে এই হামলার কারণে সেসময়ে হুমকি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। আর এই হামলার কারণে যদি ইসরাইলের দিকে কোন তীর চালানো হত তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সমর্থনে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল”।

সূত্র: রয়টার্স

//এস এইচ এস//টিকে

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি