ভোটক্রয় কেলেঙ্কারির জেরে পেরুর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
প্রকাশিত : ১১:৫১, ২২ মার্চ ২০১৮
কদিন পরেই আবারও সংসদে অভিসংশন ভোট আনতে যাচ্ছে বিরোধীদল। এমতাবস্থায় অল্প কয়েকটা ভোট ব্যবধানে ঠিকে থাকা পেরুর প্রেসিডেন্ট অর্থের মাধ্যমে বিরোধীদলের সাংসদদের কাছ থেকে ভোট কিনছেন। এ বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো কুজেনস্কি।
যদিও ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে দেওয়া ভাষণে কুজেনস্কি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষায় আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমি রাষ্ট্রের সব দলের একতার মধ্যে বাধা হয়ে থাকতে চাই না। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার রাষ্ট্রীয় একতা, যেটা আমাকে গ্রহণ করবে না। তাই আমি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে ভোট ক্রয় কেলেঙ্কারির ঘটনাকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কুজেনস্কি। বিরোধীদলের কাছ থেকে ভোটক্রয়ের যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতাকে ঘিরে পেরুর রাজনীতিতে যে ঝড় ওঠেছে তাতে কনজারভেটিভ পার্টিতো বটেই, বিরোধী দলও বিব্রতবোধ করছে। এর আগে দেশটির শক্তিশালী নেতা ফুজিমুরির কন্যা কেইকো কুজেনস্কির বিরুদ্ধে সংসদে অভিসংসন বিল আনেন।
উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার একটি অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তার। কুজেনস্কির মিত্ররা এই ভোটে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করছেন, এমন ফুটেজ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে কুজেনস্কির পদত্যাগের দাবিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। এর আগে ডিসেম্বরে আরেকটি অভিশংসন ভোটে উৎরে গিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।
ব্রাজিলীয় নির্মাণ কোম্পানি ওদেব্রেইচি থেকে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে বিরোধীরা কুজেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে। জানা গেছে, কুজেনস্কি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংকার হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয় পেয়ে ক্ষমতাসীন হন।
সূত্র: টাইম
এমজে/
আরও পড়ুন