ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন প্লেবয় মডেল কারেন
ট্রাম্প শারীরিক সম্পর্কের জন্য টাকা দিতে চেয়েছিল
প্রকাশিত : ২১:৪৫, ২৩ মার্চ ২০১৮
অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন প্লেবয় ম্যাগাজিনের সাবেক মডেল কারেন ম্যাক ডৌগাল। বার্তা সংস্থা সিএনএনকে তিনি বলেছেন, “তিনি (ট্রাম্প) আমাকে শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে টাকা দিতে চেয়েছিল”।
২০০৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে নিজের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে কারেন আরও বলেন, “তার সাথে দেখা হওয়ার প্রথমদিনের ঘটনা এটি। সেদিন রাতে সে আমাকে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্ররোচিত করে। এরপর খুব অপমানিত বোধ করি। বাড়ি ফেরার পুরোটা সময় আমি কাঁদতে থাকি”।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ধনকুবের ট্রাম্পের সাথে এরপরেও আরও দশমাস সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করে এ মডেল। এর জন্য ট্রাম্প পত্নী মালেনিয়া ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশও করেছেন ঐ সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, আমি দুঃখিত। আমি চাইনি আমার সাথে এমনটা হোক”।
তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় থাকা এই মডেলের সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু কারেনের দাবি, খুব চতুরতার সাথে তাকে চুপ রেখেছেন ট্রাম্প।
২০১৬ সালে একটি প্রকাশনা সংস্থার সাথে নিজের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়ে খোলামেলা জানানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন কারেন। ঐ প্রকাশনা সংস্থাটিকে একান্ত বিশেষভাবে ট্রাম্প সম্পর্কের কথা জানানোর বিনিময়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলারে চুক্তি হয়েছিল কারেনের সাথে।
কিন্তু কোন এক অজানা কারণে ঐ প্রকাশনা সংস্থাটি আর তার অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেনি।
কারেনের সন্দেহ, ঐ প্রকাশনা সংস্থাটি মূলত ট্রাম্পেরই। কারেনের মুখ ‘বন্ধ’ রাখতেই ঐ চুক্তিটি করা হয়েছিল বলে দাবি তার। আর তাই এখন ঐ প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারেন ম্যাক ডৌগাল।
কারেনের এমন বক্তব্যে ট্রাম্পের সাথে এক সময় সম্পর্ক থাকা নারীর সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো তিন জনে।
পর্নো তারকা স্টর্মি ডেনিয়েলস সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সাথে কয়েক মাসের শারীরিক সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ২০১৬ নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে ‘নীরব’ থাকতে ট্রাম্প তার আইনজীবীর মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারও দেয় স্টর্মিকে।
তারও আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়েই সামার যারভোস নামের আরেক নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। ২০০৭ সালে বেভারলি হিলসের এক হোটেলে ট্রাম্পের দ্বারা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সামার। তবে শুরু থেকেই এসব অভিযোগ করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন