রয়টার্সকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থায়নেই শুরু হবে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন
প্রকাশিত : ১২:০০, ২৭ মার্চ ২০১৮
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থায়নেই শুরু হবে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ। তিনি বলেন, নোয়াখালীর ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা আহ্বান করার পাশাপাশি যতোদূর সম্ভব নিজস্ব অর্থায়নে পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার শাহরিয়ার আলম রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে (২৮০মিলিয়ন) ওই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নন তিনি। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই ঠিক কবে নাগাদ এর কাজ শেষ হবে, তার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো সম্ভব নয়।
শাহরিয়ার আলম রয়টার্সকে জানান, মূল ভূখণ্ডের থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ওই আবাস গড়ে তোলা হবে।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বলছে, এখনও ভাসানচরে বন্যাঝুঁকি রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য নেওয়া আবাসন প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। তবে শাহরিয়ার আলম রয়টার্সকে বলেছেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কারণ সেখানে আমরা বাঁধ নির্মাণ করছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে তারা। জানুয়ারিতে সম্পাদিত ঢাকা-নেপিদো প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পাঠানো প্রথম ৮ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা নিয়েই শুরু হয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। তাই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে এপ্রিলের শেষ নাগাদ মৌসুমী বৃষ্টির কাল শুরুর আগেই ১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ভাসানচরে নতুন আবাস তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হবে। তাতে পুনর্বাসন করা হবে এক লাখ ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে। এ লক্ষ্যে একনেকে ২৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভাসানচরে বসবাসের যাবতীয় সুযোগ সুবিধাই থাকবে।
একে// এআর
আরও পড়ুন