শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাশিয়ায় বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ০০:১৩, ২৮ মার্চ ২০১৮
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। সাইবেরিয়ায় কেমেরোভো শহরের ঐ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ মঙ্গলবারের এই বিক্ষোভে অংশ নেয় অন্তত সাত হাজার মানুষ।
বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের সদর দপ্তরের সামনে র্যালি নিয়ে জড়ো হতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এসময় ঐ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। কেউ কেউ আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিনের পদত্যাগও চেয়েছেন।
গতকালের এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪১ জনই শিশু। নিখোঁজ আছেন অন্তত আরও ১২ জন মানুষ।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল বলছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার এলার্ম বেজে উঠলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জরুরি নির্গমনের পথও। আর এতেই এত বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে কেমেরোভোর একটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ভ্রাদিমির পুতিন। ইতোমধ্যে, প্রাইভেট মালিকানার একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাশিয়ান পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের সময় ঐ শপিং মলে দায়িত্বরত ছিলেন ঐ নিরাপত্তা কর্মী।
প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরেও যখন বিক্ষোভকারীরা শান্ত হচ্ছিলেন না তখন সাইবেরিয়ার আঞ্চলিক সরকারের ডেপুটি গভর্নর সার্জেই সিভিলেভ তার দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসেন। বিক্ষোভকারীদের সামনে হাটু গেড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। এরপর শান্ত হয় বিক্ষোভকারী।
শেষ মুহুর্তের কথোপকথন
ইগোর ভস্ট্রিকোভ নামের এক ব্যক্তি গতকালের এই অগ্নিকান্ডে হারিয়েছেন তার স্ত্রী, বোন এবং তিন সন্তানকে। বার্তা সংস্থা বিবিসি’র কাছে তার স্ত্রীর সাথেও হওয়া শেষ কথোপকথনের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, “অগ্নিকান্ডের পরেও জীবিত ছিল আমার স্ত্রী। তার সাথে কথা হয় আমার। তার কথায় কোন উদ্বেগ ছিল না। সে বের হওয়ার জন্য রাস্তা খুঁজছিল। সে আমাকে বলল যে, ভয়ের কোন কারণ নেই। তবে সে আমাকে শেষ বিদায় জানিয়ে ‘গুডবাই’ বলেছিল। আমি তখনও বুঝিনি আমি সবাইকে এভাবে হারাব”।
“আমার এখন হারানোর আর কিছু নেই”
সূত্র: বিবিসি
//এস এইচ এস//টিকে
আরও পড়ুন