লন্ডন দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ইকুয়েডর
প্রকাশিত : ০৯:০৬, ২৯ মার্চ ২০১৮
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বুধবার ইকুয়েডর জানিয়েছে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে লন্ডন দূতাবাসে অবস্থানরত অ্যাসাঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ইকুয়েডর সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দূতাবাসে অবস্থানরত সময়ে অন্য কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে ২০১৭ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন অ্যাসাঞ্জ। তাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ইকুয়েডরের চুক্তি অনুসারে এমন কোনও বার্তা প্রকাশ করবেন না যেটাকে অন্য দেশের সম্পর্কে হস্তক্ষেপ বলা যায়।
বিবৃতিতে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি। তবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি অ্যাসাঞ্জ এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন তাহলে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সোমবার টুইটারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহারে যুক্তরাজ্যের অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করেন অ্যাসাঞ্জ। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যসহ ২০টিরও বেশি দেশের রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পরে মঙ্গলবার অ্যাসাঞ্জ কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুজদেমনকে জার্মানিতে গ্রেফতারের সমালোচনা করেন।
ইকুয়েডরের দাবি, দূতাবাসে বসে অ্যাসাঞ্জের এইসব বার্তা যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির সুসম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ক্ষমতাশালীদের বিভিন্ন অপকর্মের গোপন দলিল প্রকাশ করে আসছে উইকিলিকস।
এক পর্যায়ে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়। ২০১০ সালে সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুন গ্রেফতার এড়াতে তিনি ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। দূতাবাসে একটি ঘরকে শয়নকক্ষ ও অফিস হিসেবে ভাগ করে ব্যবহার করেন তিনি।
তথ্যসূত্র: এএফপি।
এসএইচ/
আরও পড়ুন