সিরীয় সংকট সমাধানে আঙ্কারায় তিন নেতা
প্রকাশিত : ১০:৫১, ৪ এপ্রিল ২০১৮
সিরিয়ায় ৭ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ অবসানে এবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তিন নেতা আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আঙ্কারায় পৌঁছেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছান বিশ্বের ক্ষমতাধর এই নেতা। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার সরকার বাসার আল-আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসলেও তুরস্ক সমর্থন দিয়ে আসছে বিদ্রোহী দল ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে। এমনকি বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও সেনা পাঠিয়ে সহায়তা করছে তুরস্ক, এমন অভিযোগও রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সিরিয়ার আফরিন থেকে কুর্দী যোদ্ধাদের হঠিয়ে দেয় তুরস্ক। এলাকাটিতে বর্তমানে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
অন্যদিকে বাসার আল-আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে রাশিয়া বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে পূর্ব ঘৌতা থেকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে হঠিয়ে দিয়েছে আসাদ ও রুশদের মিলিত বাহিনী। তাদের হামলায় পূর্ব ঘৌতায় পৃথিবীর দোযখ নেমে আসে বলে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হন পুতিন। এরপরই পুতিন সেখানে দৈনিক ৫ ঘণ্টা করে যুদ্ধ বন্ধ রাখার কথা বলেন। তবে পুতিনের সেই আহ্বান অগ্রাহ্য করে আসাদ বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রাখে।
এদিকে গৃহযুদ্ধ চলার মধ্যেই গত বছর থেকে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর আগে রাশিয়ার সুচিতে তিন শক্তির মধ্যে সিরিয়া ইস্যুতে আলোচনা হয়। এদিকে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বাড়ছে। এরইমধ্যে রাশিয়া মিত্রদেশ তুরস্কে পারমাণবিক ঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
সিরিয়া ইস্যুতে তিন দেশের ভিন্ন স্বার্থ আছে জানিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক রাজনৈতিক গবেষক বলেন, তিন শক্তিই সিরিয়াই প্রভাবশালী হয়ে থাকতে চায়। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা সংঘাতের ভিত্তিতে নয়, বরং সমঝোতার ভিত্তিতে দেশটিতে সংকটের সমাধান করতে চাইছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/
আরও পড়ুন