জুন থেকেই ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু
প্রকাশিত : ১৩:২৮, ৫ এপ্রিল ২০১৮
চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জুনের প্রথম সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ভাসানচরে ৫০ হাজার লোকের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। বাকিগুলো দুইমাসের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় যারা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে যেতে চান, কেবল তাদেরকেই সেখানে নেওয়া হবে। এদিকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর দাবি, রোহিঙ্গাদের যেন জোর করে ভাসানচরে স্থানান্তর করা না হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সামনের বর্ষার মৌসুমে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাই অনেকেই ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। এরইমধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে একটি চুক্তি করে ঢাকা-নেইপিদো। সে চুক্তির আওতায় প্রাথমিকখভাবে বাংলাদেশ ৮ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেশটিতে পাঠায়। তবে তালিকা পাঠালেও মিয়ানমার সরকার সেটি নিয়ে গড়িমসি করছেন।
২০০৬ সালেই বঙ্গোপসাগরের বুকে ভেসে ওঠে ভাষানচর দ্বীপ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আশ্রিত সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। জাতিসংঘের আবাসন বিষয়ক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ জুনে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। তবে এনিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভাষানচরে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। ভাসানচর নিয়ে কেউ কেউ উদ্বেগ জানালেও এর পেছনে কোন যুক্ত তুলে ধরতে পারছেন না কেউ। কেননা আমরা বাঁধ নির্মাণ করছি। আর খুব শিগগিরই ওই দ্বীপে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি যোগ করেছিলেন’।
সূত্র: এএফপি
এমজে/
আরও পড়ুন