মার্টিন লুথার কিং-এর সমাধি অনুষ্ঠানের কিছু স্মরণীয় ছবি
প্রকাশিত : ১৩:৩৯, ৫ এপ্রিল ২০১৮
মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯৬৮ সালের চৌঠা এপ্রিল আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান৷ নিহত নেতার সমাধি অনুষ্ঠানের ছবি তোলেন কিং-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আলোকচিত্রী ফ্লিপ শুল্কে৷
৯ই এপ্রিল, ১৯৬৮ সমাধি অনুষ্ঠান৷ কিং-এর স্ত্রী করেটা স্কট কিং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে এবেনেজার ব্যাপটিস্ট চার্চের প্রথম সারিতে বসেন৷ জর্জিয়ার অ্যাটলান্টা শহরের এই গির্জাটিতে কিং ও তার পিতা উভয়েই যাজক হিসেবে কাজ করেছিলেন৷ আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা সভাটির পর তিন মাইল লম্বা শোক মিছিল মোরহাউস কলেজে যায়, যেখানে কিং পড়াশোনা করেছিলেন৷ সেখানেও একটি প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
ভাই হারানোর দুঃখ
কিং-এর ভাই অ্যালফ্রেড ডি. কিং গির্জায় বসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ শ্রমিক নেতা, বিদেশ থেকে আসা বিশিষ্ট অতিথি, চলচ্চিত্র, সংগীত ও খেলাধুলার জগতের নামকরা ব্যক্তিত্ব, এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতারা ওই প্রার্থনা সভায় অংশগ্রহণ করেন৷
অবশেষে শান্তি
শবাধারে শায়িত মার্টিন লুথার কিং৷ টেনেসির মেমফিস শহরের লোরেইন মোটেলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ স্থানীয় পৌরকর্মীদের ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন প্রকাশের জন্য কিং মেমফিসে গিয়েছিলেন৷ দৃশ্যত আততায়ীর গুলি তাঁর থুতনিতে লেগে সোজা মেরুদণ্ডে ঢুকে যায়৷ ‘‘উনি সম্ভবত গুলি ছোঁড়ার আওয়াজ বা গুলির ধাক্কা অনুভব করেননি,’’ বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যান্ড্রু ইয়ং৷ সেদিন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি৷
কিং-এর প্রিয় সংগীত
এবেনেজার ব্যাপটিস্ট গির্জা থেকে মোরহাউস কলেজ অবধি শোক মিছিল দেখেন লক্ষাধিক মানুষ৷ মাঝে মাঝেই উপস্থিত জনতা কিং-এর প্রিয় সংগ্রাম ও প্রতিরোধের গানগুলি গাইতে থাকেন৷ মোরগাউস কলেজের মাঠে আয়োজিত প্রার্থনাসভায় কিং-এর প্রিয় বন্ধু মহালিয়া জ্যাকসন তাঁর প্রিয় ‘হিম’ বা খ্রিষ্টীয় ঈশ্বরস্তোত্রটি গান: ‘টেক মাই হ্যান্ড, প্রেসিয়াস লর্ড৷’
তথ্যসূত্র:ডয়েসে ভেলে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন