ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মা হতে চাইলে নিতে হবে অফিসের অনুমতি!   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৯, ৫ এপ্রিল ২০১৮

মা হতে চাইলে নিতে হবে অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি। জাপানের বেশ কিছু অফিসে চালু হয়েছে এমনই কিছু অলিখিত নিয়ম ৷   

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া বেশ কিছু ঘটনা সামনে আসায় এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।মাতৃত্বের ইচ্ছার ওপর কর্মক্ষেত্রের এমন নিয়ন্ত্রণ মহিলাদের ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন মহিলা কর্মীরা।  

সম্প্রতি টোকিও-এর এক চাইল্ড কেয়ারের মহিলা কর্মীর অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই সামনে আসে এই বিতর্ক ৷ ওই মহিলার স্বামী সাংবাদিককে জানান, তার স্ত্রী এক চাইল্ড কেয়ারের কর্মী ৷ তিনি গর্ভবতী হওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে তা জানানো হলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

ওই মহিলা কর্মীকে ‘বিনা অনুমতিতে’ গর্ভধারণের জন্য তীব্র কটু ভাষায় তিরস্কার করে তারা ৷ এমনকি তাকে কোম্পানির ডিরেক্টরের কাছে ‘গর্ভধারণ’-এর মতো অপরাধের কারণে তাকে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য করা হয় ৷  

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অনেকেই এ  ব্যাপারে সমালোচনা করেছে।

টোকিও চাইল্ড কেয়ারের ওই মহিলা কর্মী জানান, জাপানের অনেক অফিসের মতোই তার অফিসেও অলিখিত নিয়ম রয়েছে। তার মধ্যে কোনো কর্মরত মহিলা যদি বিয়ে বা গর্ভধারণ করতে চায় তাহলে তাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।   

টোকিওর ওই চাইল্ড কেয়ারের মহিলাকর্মীর মতোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল কসমেটিক্স কোম্পানিতে কর্মরত ২৬ বছরের এক মহিলা কর্মীর ৷ তিনি ও তার ২২ জন মহিলা সহকর্মীকে ইমেল করে অফিস কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৫ বছরের আগে তারা বিয়ে বা সন্তানধারণ করতে পারবে না ৷

অফিসের কর্মীদের জীবনের উপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের ঘটনা সামনে আসলে তিব্র সমালোচনা শুরু হয়। এইসব ঘটনাগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যক্তি স্বাধীনতার চুড়ান্ত হস্তক্ষেপ বলে সমালোচনা হচ্ছে।

সূত্র: নিউজ১৮ 

এমএইচ/এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি