রাজকুমারীকেও যৌন হয়রানি!
প্রকাশিত : ১০:৪৯, ২ মে ২০১৮
নোবেল কমিটির ঘনিষ্ঠ, ফরাসি চিত্রগ্রাহক জঁ-ক্লদ আর্নোর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরই পদত্যাগ করেছিলেন অ্যাকাডেমির একের পর এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ২০০৬ সালে নোবেল অ্যাকাডেমি কমিটির ঘনিষ্ঠ, ফরাসি চিত্রগ্রাহক জঁ-ক্লদ আর্নোর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল গত বছর শেষের দিকে। আর্নো অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপস্থিতরা জানিয়েছেন, ২৭ বছর বয়সী রাজকুমারীর গায়ে আপত্তিকরভাবে হাত দিয়েছিলেন আর্নো। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সুইডিশ লেখিকা এবা উইট-ব্রাটস্টর্ম বলেন, হঠাৎই আর্নো এগিয়ে যান ভিক্টোরিয়ার দিকে। দেখলাম, তিনি সোজা গিয়ে ভিক্টোরিয়ার ঘাড়ে হাত রাখলেন। আর তার পর অশালীনভাবে রাজকুমারীকে স্পর্শ করতে লাগলেন।
ভিক্টোরিয়ার মহিলা সহকারী ব্যাপারটি লক্ষ করে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন। উনি প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েন ভিক্টোরিয়াকে বাঁচাতে। টেনে সরিয়ে দেন আর্নোকে। পরের বছরের অনুষ্ঠানে সুইডিশ কোর্ট থেকে বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, আর্নোর সঙ্গে কখনও যেন একা ছাড়া না হয় ভিক্টোরিয়াকে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এর বেশি শোরগোল হয়নি।
গত বছর নভেম্বর মাসে ফের উঠে আসে আর্নোর নাম। এবার তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনেন ১৮ জন মহিলা। তাদের দাবি, কখনও অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে তো কখনও স্টকহোমস, প্যারিসে নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্টে, সুযোগ বুঝে তাদের আর্নো হেনস্তা করেছেন।
আর্নোর আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার নামে কুৎসা রটাতে ও তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করা হচ্ছে। এ ঘটনার জেরে গত নভেম্বরের পর থেকে অ্যাকাডেমির ছয় সদস্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। আর্নোর স্ত্রী, কবি ক্যাটরিনা ফ্রস্টেনসনও অ্যাকাডেমির সদস্যা। তার পদত্যাগেরও দাবি ওঠে। ক্যাটরিনা পদত্যাগ না করায় এ বছর এপ্রিলে আরও তিন সদস্য ইস্তফা দেন।
সূত্র: আনন্দ বাজার
এমজে/
আরও পড়ুন