ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের লোয়ায় নিষিদ্ধ গর্ভপাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ২ মে ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৫৮, ২ মে ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ করে বিল পাস করেছে সেখানকার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভ। লোয়ার গভর্নর কিম রেনল্ডস বিলটিতে তার সম্মতিসূচক স্বাক্ষর দিলে বিলটি আইনের রুপ পাবে। এর ফলে নিষিদ্ধ হবে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গর্ভে থাকা ভ্রুণের গর্ভপাত।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে লোয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভে রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাস হয়।

২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতবিরোধী আইন পাস হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। গত বছর এই লোয়াতেই ২০ সপ্তাহের অধিক বয়স্ক ভ্রুণের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করে আইন পাস হয়।

তবে এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে ব্যাপক বিতর্ক চলছে এখন যুক্তরাষ্ট্রে।

বিলটির সমর্থনে থাকা রিপাবলিকান প্রতিনিধি শ্যানন লান্ডগ্রেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “হাউজে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর তার একটি কারণ রয়েছে। এই কারণটি হলো এই যে, আমরা জীবন বিকাশের জন্য কাজ করি”।

বিলটির সমর্থনে আরেক রিপাবলিকান প্রতিনিধি ডন পেটেঙ্গিল বলেন, “আমরা তখন থেকেই জীবিত যখন থেকে আমাদের হৃদপিন্ডের কার্যক্রম শুরু হয়। আর আমরা তখনই মৃত যখন এটি থেমে যায়”।

বিলটির সমর্থনে বলা হয় যে, ভ্রুণের বয়স যদি মোটামোটি ছয় সপ্তাহ হয়ে যায় তাহলে সেটিতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া দেখা যায়। এমন অবস্থায় গর্ভপাত করা সেটিকে হত্যার শামিল।

এদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রতিনিধি ওয়েসেল-ক্রোয়েচেল এই বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “প্রতিটি নারী, সে যত অর্থই আয় করুক না কেন অথবা সে যে শ্রেণীরই হোক না কেন, জন্মবিষয়ক সকল সেবা পাওয়ার অধিকার তিনি রাখেন। এই সেবার মধ্যে গর্ভপাতও আছে। আর তার এই স্বাধীনতা রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে”।

ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধিরা এই বিলটিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অসাংবিধানিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর কিম রেনল্ডস বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন কী না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি রিপাবলিকান দলের একজন প্রতিনিধি হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত তিনি বিলটিতে সই করবেন।

কিন্তু বিলটি আইন আকারে পাস করা হলে এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াই হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। ১৯৭৩ সালে রো বনাম ওয়েড মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। গর্ভপাতের সমর্থনকারীরা এই আদেশকে পুঁজি করে আদালতে মামলা করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

ধর্ষণ এবং পরকীয়ার কারণে যেসব নারী গর্ভবতী হবেন তারা এই আইনের আওতার মধ্যে পরবেন না বলেও বলা হয়।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//

   


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি