ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় শতাধিক মানুষের হত্যাকারী যে ব্যক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬, ৪ মে ২০১৮

যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর সিরিয়ার রাকা। সেখানে প্রতিদিন ঘুম ভাঙতো মৃত্যু আর রক্তেভাসা লাশ দেখে। আর প্রতিদিন তা দেখতে দেখতে খালেদ নিজেই একদিন হয়ে গেলেন গুপ্তঘাতক। তাকেসহ আরও ছয়জনকে বিশেষ একটি দাওয়াতে পাঠানো হয়েছিল। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ওই ছয়জনকে নিয়ে আসা হলো। সেখানে একজন ফ্রান্সের প্রশিক্ষক তাদরে পিস্তল, অস্ত্র ও স্নিপার রাইফেল চালনা শেখালেন।

খালেদ জানান, ‘আমাদের প্রথম কাজ ছিল বিদ্রোহী সেনাদের অবরুদ্ধ করা। এরপর আমাদের বলা হতো আটকদের মধ্যে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা। বেশিরভাগ সময় গুপ্তহত্যা চালাতাম মোটরবাইকে করে। বাইক চালাতো অন্যজন আর আমি পেছনে বসে থাকতাম। আমরা টার্গেট করা গাড়ি থেকে পেছনে বাইক চালাতাম। এরপর এমনভাবে হামলা চালাতাম যেন কোনোভাবেই সে হামলা থেকে না বাঁচে।

খালেদ তার নিজের নাম নয়। সে জানায় আমি যা করেছি, বা করতাম তা কোনো মানুষিক কাজ নয়। রাকার নিরাপত্তা অফিসের গ্রুপ কমান্ডার ছিলেন খালেদ। ২০১১ সালে সিরিয়ায় প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়। সে ছিল খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। খালেদ বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে যেদিন আমি প্রথম অস্ত্র ধরেছিলাম, সেদিনটি ছিল খুব বিস্ময়কর।

খালেদ আরও জানায়, ‘আমরা দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দেশকে স্বাধীন করার জন্য কাজ করছি। আমরা ২৫-৩০ জনের একটি দল ছিল। প্রথম আমরা কেউ অস্ত্র চালাতে পারতাম না। ওটার জন্য আমাদের কোনো সাহসও ছিল না। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষদের গ্রেফতার করেছিল। একদিন তারাও আক্রান্ত হলেন। তারা আমাকে ধরে নিয়ে গেল। এভাবে সর্বশেষে আমাকে কেন্দ্রীয় জেলে নিয়ে গেল। ওই সময় আমি কোমরের ব্যথার কারণে ঘুমোতে পারতাম না। একমাস পর আমার ছুটি হলো।

যখন সে জেল থেকে মুক্তি পেল, খালেদ অস্ত্র হাতে তুলে নিল। সে জানায়, ১৭তম ডিভিশনের ৩৫ সিরিয়ান আর্মিকে সাহায্য করেছে। কিছু সদস্যদের সে আত্মসাৎ করে। এরপর তাদের অস্ত্র বিক্রি করতো সে। একদিন সে বিদ্রোহী দলে যোগ দিল। এভাবেই খালেদ হয়ে উঠেন শত মানুষের খুনী।

সূত্র: বিবিসি
এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি