মহাসাগরে পাওয়া গেল ১৯ শতকের দুই জাহাজ
প্রকাশিত : ১২:২৮, ৫ মে ২০১৮
১৯ শতকে ডুবে যাওয়া দুটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছে অনুসন্ধানকারীরা। মালয়েশিয়ার উধাও হয়ে যাওয়া ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ বোয়িং বিমানটির সন্ধানে খোঁজ চালাতে গিয়ে এ দুটি ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছে অনুসন্ধানকারী দল। তবে দুঃখের বিষয় মালয়েশিয়ার সেই উড়োজাহাজটির সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগরের তলদেশে সন্ধান মিলেছে ধ্বংসাবশেষ দুটির। জাহাজ দুটি চিহ্নিত করতে অস্ট্রেলীয় সমুদ্র গবেষকেরা সোনার চিত্রায়ণপদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। সোনার হলো সমুদ্রের তলদেশে শব্দতরঙ্গ পাঠিয়ে প্রতিফলিত তরঙ্গের মাধ্যমে পানির তলদেশে বস্তুর অবস্থান শনাক্ত এবং পানির গভীরতা পরিমাপ করার একটি পদ্ধতি।
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটি উদ্ধারে ফের অনুসন্ধান শুরু করে। এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে নতুন দুটি ধ্বংসাবশেষ। তবে পাওয়া যায়নি মালয়েশিয়ার সেই নিখোঁজ হওয়া বিমানটি।
এর আগে, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ২৩৯ আরোহীসহ এমএইচ ৩৭০ বোয়িং। এরপর অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও চীন ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যৌথ অনুসন্ধান অভিযান চালিয়েও কোন হদিস মেলেনি ওই বিমানটির। এরপর ১ হাজার ৪৬ দিন পর এই অভিযান সমাপ্ত করা হয়।
গবেষকেরা বলেছেন, ধ্বংসাবশেষ দুটির একটির সন্ধান মেলে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। এগুলো হলো ওয়েস্ট রিজ, কুরিঙ্গা ও লেক অন্টারিও। এর মধ্যে ১৮৮৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারত যাওয়ার পথে ২৮ ক্রুসহ ওয়েস্ট রিজ হারিয়ে যায়। সন্ধান পাওয়া ধ্বংসাবশেষটি এই জাহাজের হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এ ছাড়া ১৮৯৪ সালে কুরিঙ্গা ও ১৮৯৭ সালে লেক অন্টারিও ডুবে যায়। অপর ধ্বংসাবশেষটি পাওয়া গেছে ২০১৫ সালের মে মাসে। ডিসেম্বরে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এর কাঠামে কাঠের। রস অ্যান্ডারসন বলেন, এটি ১৯ শতকে নিখোঁজ জাহাজ ডব্লিউ গর্ডন অথবা মাগডালা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ধ্বংসাবশেষ পাওয়া সবগুলো জাহাজই কয়লাবাহী ব্রিটিশ জাহাজ বলে ধারণা করা হচ্চে।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/
আরও পড়ুন