ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্যারিস হামলা নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ফ্রান্সের নিন্দা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৮, ৬ মে ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ‘নকল’ করে দেওয়া ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছে প্যারিস।

ডালাস ও টেক্সাসের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ফ্রান্সের কঠোর অস্ত্র নীতির সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এসময় তিনি ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর প্যারিসে হওয়া বন্দুকধারীদের হামলার ব্যঙ্গ করেন।

নিজের হাতকে বন্দুকের মতো করে হামলাকারী চরিত্র নিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘বুম! এদিকো আসো। বুম!’

আর ট্রাম্পের এমন বক্তব্যেই চটেছে প্যারিস। প্রকৃতপক্ষে ঐদিনের হামলায় অধিকাংশ ব্যক্তিকে সেমি-অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে এবং শরীরে বোমার বেল্ট ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘১৩ নভেম্বর ২০১৫ এর প্যারিস হামলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেছেন তা প্রত্যাখ্যান করছে ফ্রান্স। সেই সাথে ফ্রান্স আহ্বান জানাচ্ছে যে, ঐ হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হোক।’

২০১৫ এর হামলার সময়কার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সইস হল্যান্ডে ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের আদর্শিক দিক নিয়ে তিনি  (ট্রাম্প) যা মনে করেন তাই তিনি বলেছেন”।

আর সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বলেন, “অশোভন এবং অপরিপক্ক। এর চেয়ে বেশি আর কী বলতে পারি আমি?”

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পর্কে এখনও কোন মন্তব্য করেননি ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরণ। ম্যাকরণের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক বেশ ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে গুজব আছে।

ট্রাম্প যা বলেছিলেন

মূলত ট্রাম্প অস্ত্র নীতিতে বেশ উদার পন্থা অবলম্বন করেন। তিনি মনে করেন, সাধারণের কাছে অস্ত্র থাকলে তা দিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত  করতে পারেব সাধারণ জনগণ।

ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের ঐ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন –

“প্যারিস, ফ্রান্সে পৃথিবীর সবথেকে কঠোর অস্ত্র নীতি রয়েছে”।

“প্যারিসে কারও কাছে অস্ত্র ছিল না, কারও কাছে না। আর আমরা সেই ঘটনায় নিহত ১৩০ জন এবং মারাত্মক আহতদের স্মরণ করি। কেউ খেয়াল করেছেন যে, কেউ তাদের বিষয়ে কথা বলে না?”

“তারা নৃশংসভাবে নিহত হয় খুবই ছোট একটি দলের হাতে। তারা (হামলাকারী) তাদের সময় নিয়েছে এবং এক এক করে হত্যা করেছে। বুম! এদিকে আসো। বুম!”

“কিন্তু যদি অন্তত একজন কর্মী অথবা একজন দেশপ্রেমিকের হাতে সেদিন অস্ত্র থাকত অথবা যদি এই কক্ষে উপস্থিত অন্তত একজন যদি সেদিন অস্ত্র নিয়ে সেখানে থাকত, সন্ত্রাসীদের দিকে অস্ত্র তাক করে, তাহলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটত অথবা গুলিতে নিহত হতো”।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস// এআর      


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি