ঢাকা, সোমবার   ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

নির্যাতনের অভিযোগে সিআইএ প্রধানের পদে অযোগ্য হাসপেল!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৭, ৭ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৭:০৮, ৭ মে ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান পদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের শীর্ষে থাকা গিনা হাসপেলের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে গোয়েন্দা সংস্থাটির জিজ্ঞাসাবাদকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিরোধী দল থেকে এ দাবি উঠেছে।

এদিকে হোয়াইট হাউজ থেকে গত শুক্রবার হাসপেলকে ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা বলা হলে, তার সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। সূত্র জানিয়েছে, হাসপেলের প্রার্থীতার বিষয়টি জটিলতার মধ্যে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম সংবাদটি প্রকাশ করে। জানা গেছে, গত শুক্রবার তাকে হোয়াইট হাউজে ডেকে পাঠানো হয়।

জিজ্ঞাসাবাদকাণ্ডে তার কি ভূমিকা ছিল, তা বের করে আনতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিআইএর এক জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

হোয়াইট হাউজকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, আমার এখানে অবস্থান যদি সিআইএর জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো। এরপরই তিনি সিআইএর সদর দফতর ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে ফিরে যান।

হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র সারাহ সানডারস পুনরায় আলোচনার জন্য ল্যাংলিতে যান। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেন।

তবে শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, হাসপেল পদত্যাগ করছেন না। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হাসপেলকেই সিআইর প্রধান হিসেবে সবচেয়ে যোগ্য ভাবা হচ্ছে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিআইএ প্রধান হিসেবে হাসপেলের নাম উল্লেখ করেন। সাবেক সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেইকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার পরই এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

হাসপেলের প্রার্থীতার বিরুদ্ধে বিরোধী দলের সদস্যরা অভিযোগ তোলেন। ওই সময় আল কায়েদা সন্দেহে কয়েকজন বন্দীর ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে হাসপেলের বিরুদ্ধে।

২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বুশ প্রশাসনের আমলে হাসপেলের বিরুদ্ধে আটককৃতদের নির্যাতনের অভিযোগ প্রথম উত্থাপিত হয়।

সূত্রছ রয়টার্স
এমজে/

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি