যে কারণে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর হামলা
প্রকাশিত : ২২:২৩, ৭ মে ২০১৮
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবালের উপর হামলাকারী জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী আবিদ হোসেইন তা স্বীকার করেছেন। ব্লাসফেমি আইনে সংশোধনী আনার চেষ্টা করার ফলেই তাকে হত্যাচেষ্টা চালায় জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক।
এদিকে কেবল ইমরান-ই নয়, পাকিস্তানের আরও বেশ কয়েকজন সংস্কারপন্থী মন্ত্রীকেও হত্যার চেষ্টা করে আসছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবানের সদস্যরা। আর এরই অংশ হিসেবে ইমরানের উপর হামলা চালায় তারা। শুধু তাই নয়, ব্লাসফেমি আইনে তিনি একবার অভিযুক্ত হয়েছিলেন বলেও পুলিশ দাবি করেছে।
গত রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইকবাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করেন আবিদ হোসেইন। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইকবালের বর্তমান অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। পুলিশ কর্মকর্তা আজাজ বশির বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর হামলাকারী তেহরিক-ই লাব্বাইকের একজন সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
তেহরিক-ই-লাব্বাইক গত নভেম্বরে তিন সপ্তাহের জন্য ইসলামাবাদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। তখন সংগঠনটির একটি দাবি ছিল এই যে, পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যে শপথবাক্য পাঠ করতে হয়, সেখানে সংশোধন আনতে হবে। এ ছাড়া ব্লাসফেমি আইনে সংশোধন আনার জন্য ইমরানসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী চেষ্টা করায় তার বিরোধীতা করেছে সংগঠনটি।
পাকিস্তনে ব্লাসফেমি একটি মারাত্মক ইস্যু। সেখানে ইসলাম ধর্ম, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও কুরআনকে অবমাননার অভিযোগে অন্তত ৭৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের আইনেও ব্লাসফেমি একটি আইন। তবে সেখানে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন ধরণের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ডন
এমজে/
আরও পড়ুন