মাহাথিরকে নিয়ে যত সমালোচনা
প্রকাশিত : ১৬:৫২, ১০ মে ২০১৮
মাহাথির মোহাম্মদ ২২ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে মালয়েশিয়াকে এক শতাব্দী এগিয়ে দিয়েছিলেন। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকায় তাঁর সমালোচনাও কম নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অনেক মানুষই তাঁকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে দেখেন। বিশেষ করে, নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকেরা তাঁকে খুব একটা পছন্দ করেন না। মালয় সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর পাশাপাশি নৃতাত্ত্বিক বৈষম্যের সূচনাও করেছিলেন মাহাথির।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের গুরুতর অভিযোগ আছে। তাঁর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো সব ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন মাহাথির। আনোয়ার ইব্রাহিম ছিলেন মাহাথির পরবর্তী যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। অথচ ১৯৯৮ সালে সেই আনোয়ারকেই বরখাস্ত করেন মাহাথির। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ। সেই অভিযোগে সাজা পেয়েই এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি আনোয়ার।
তবে শুধু আনোয়ার নন, ক্ষমতা ছাড়ার পর সব উত্তরসূরির সমালোচনাতেই মুখর ছিলেন ডক্টর এম। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মাহাথিরই প্রথম নাজিবকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। নাজিব প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন তাঁর সমর্থন নিয়ে। এবার শিষ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মাহাথির বলছেন, আগে তিনি ভুল করেছিলেন! এবার সেগুলো শুধরে নিতেই ক্ষমতায় আসতে চান তিনি।
৭২ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মাহাথির আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন। রয়টার্স জানিয়েছে, মাহাথিরকে এখন তার নতুন জোটের চার দলের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার জন্য কাজ করতে হবে এবং কারগারে থাকা বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে করে করার পথ বের করতে হবে। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। আগের ভুলগুলো শুধরে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।
/ এআর /
আরও পড়ুন