নারী ও নারীবাদী হিসেবে গর্বিত মেগান
প্রকাশিত : ১৩:৪০, ১৯ মে ২০১৮
এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন ইংল্যান্ডের রাজপুত্র হ্যারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন মেগান মর্কেল। উইন্ডসন ক্যাসেলের সেন্ট জর্জ গীর্জায় ‘প্রিন্সেস’ হচ্ছেন মার্কিন টেলিভিশন জগতের সাবেক এই তারকা অভিনেত্রী। নিজেকে নারীবাদী হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছেন। নারী ও নিজের নারীবাদী দর্শনের কারণে বেশ গর্ববোধও করেন মেগান মর্কেল।
মেগান মর্কেল হবে ব্রিটিশ রাজ পরিবারে স্থান পাওয়া প্রথম কোন মার্কিন নাগরিক। মেগান মর্কেলের মধ্যে দিয়ে নিজেদের জন্য আরও একটি উচ্চ আসন দেখছে মার্কিনিরা। তবে ব্রিটিশ রাজপরিবার বেশ রক্ষণশীল ধরণের হলেও নিজের নারীবাদী আদর্শ বহাল থাকবে বলেই জানায় মেগান মর্কেল।
২০১৫ সালে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএন ওমেন কনফারেন্সে মেগান বলেছিলেন, “একজন নারী ও নারীবাদী হিসেবে আমি গর্বিত”। সে বছরের ঐ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন হিলারি ক্লিনটনও ।
সম্প্রতি নিজের নারীবাদী আদর্শের কথা তুলে ধরেন সিএনএন’র কাছে। তিনি বলেন, “একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর সমতুল্য, বোন ভাইয়ের। কারও থেকে বেশি ভালো না, আবার খারাপও না”।
তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েলস সফরে ২৩ বছয় বয়সী এক নারী তাঁকে বলেন যে, ব্রিটিশ রাজ পরিবারে একজন নারীবাদী মানুষ আসায় তিনি খুশি।
মেগানের নারীবাদী আদর্শ প্রিন্স হ্যারির মাঝেও আছে বলে জানান মেগান নিজেই। তিনি বলেন, “সেও (প্রিন্স হ্যারি) একজন নারীবাদী”।
১১ বছর বয়সে একটি টিভি বিজ্ঞাপন থেকে মেগানের মধ্যে প্রথমবার নারীবাদী চিন্তাভাবনার জন্ম হয় বলে জানান তিনি। ঐ টিভি বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় যে, নারীদের স্থান শুধু ঘরের মধ্যে, বিশেষ করে রান্নাঘরে।
ওই বিজ্ঞাপন দেখে বাবার পরামর্শে বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি লিখেছিলেন সেসময়ের মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন, নিক নিউজের উপস্থাপিকা লিন্ডা এলারবি এবং আইনজীবী গ্লোরিয়া আলফ্রেডকে। এমনকি ঐ বিজ্ঞাপনী সংস্থাকেও চিঠি লিখেছিলেন মেগান মর্কেল।
সূত্রঃ সিএনএন
//এস এইচ এস// এআর
আরও পড়ুন