ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজনীতিতে সাফল্য চাইলে বিয়েকে না বলুন: মন্ত্রীর পরামর্শ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫২, ২০ মে ২০১৮

রাজনীতিতে সফল হতে কী কী গুণ প্রয়োজন? কেউ হয়ত বলবেন ব্যক্তিত্ব, আবার কেউ বলবেন বাগ্মিতা বা নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা। নিন্দুকেরা অবশ্য বলে থাকেন চাটুকারিতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই মন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে বড় নেতা হতে গেলে বিয়ে করা চলবে না।

কিন্তু ঠিক কী যুক্তিতে এমন দাবি করছেন এই মন্ত্রী? তার মতে, ‘বিয়ের পর মানুষ সংসারের নানা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পারিবারিক চিন্তায় দেশের চিন্তা করাটা আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্য সংখ্যা যত বাড়ে তত বাড়ে দুশ্চিন্তা। কিন্তু যাদের ঘর-সংসারের চিন্তা নেই তারা নিশ্চিন্তে দেশের সেবায় মনোনিবেশ করতে পারেন।’

সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে খান্দোয়া নামের ছোট একটি শহরের এক অনু্ষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের শক্তি দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী পরশচন্দ্র জৈন। মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রী বলেন, একা থাকেন বলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের সম্মান বাড়াতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবটাই অবশ্য তিনি বলেছেন রসিকতার ছলে।

মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান মন্ত্রিসভার সদস্য পরশচন্দ্র জৈন নিজে কিন্তু বিবাহ করেছেন।কদিন আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অনেকে বলছেন, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির হতাশা থেকেই হয়তো এমন বলছেন পরশচন্দ্র।

মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর এই যুক্তিকে একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ দেশের সফল রাজনীতিবিদদের অধিকাংশই কিন্তু হয় অবিবাহিত, আর নাহয় একা থাকেন। তালিকায় সবার উপরে যার নাম আসে তিনি আর কেউ নন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও কিন্তু এখনও বিয়ে করেননি। জয়ললিতা, মায়াবতীরাও রয়েছেন এই দীর্ঘ তালিকায়।

এমএইচ/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি