ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নার্ভাস হ্যারির পাশে আত্মপ্রত্যয়ী মেগান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৪, ২২ মে ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩৩, ২৩ মে ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রিন্স হ্যারি-মেগানের বিয়ে নিয়ে সর্বত্রই চলছে নানা গুঞ্জন। সম্ভবত,আগামী কয়েক বছর উদাহরণ হিসেবে টানা হবে রাজপরিবারের এই বিয়েকে। নানা মাত্রায়, ব্যঞ্জনায়, নিয়ম ভাঙা আর নিয়ম গড়ার খেলায় এক দুর্দান্ত স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে ব্রিটিশ ইতিহাসে।

এই বিয়ে বিশ্লেষণের নতুন একধারা গতকাল উপহার দেয় স্কাই নিউজ। বিয়ের সময় বর-কনে আর তাঁদের স্বজনরা কোথায় কী মন্তব্য করেছে তা জানতে তারা পেশাজীবী এক লিপ রিডারকে ভাড়া করে। নিয়োগ দেওয়া হয় এক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞকেও।

বিয়ের দিন হ্যারির নার্ভাসনেস প্রচুর কথা বার্তা হচ্ছে গণমাধ্যমসহ সবখানে। দুই বিশেষজ্ঞই একমত হয়েছেন যে ওইদিন ভীষণ অস্থির হ্যারিকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন ধীরস্থির- আত্মপ্রত্যয়ী মেগান। অথচ বিষয়টি হওয়ার কথা ছিল ঠিক উল্টো। রাজবাড়িতে বেড়ে ওঠা হ্যারি রাজকীয় রীতিনীতি- কৌশল দেখছেন ছোটবেলা থেকেই। বরং মেগান একেবারেই  সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এক সংগ্রামী নারী। রাজকীয় এমন আড়ম্বড় দেখে মেগানের  ভড়কে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু না তা হয়নি। বরং পুরো অনুষ্ঠানেই তাঁকে দেখা গেছে দারুণ আত্মবিশ্বাসী।

অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই হ্যারির হৃদকম্পন বেশি ছিল। তাঁর মুখ দেখে বিষয়টি প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। হ্যারি চার্চে ঢোকেন বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে। এ সময় তিনি ভাইকে বলেন, ‘এর চেয়ে দূরে আমরা আর যেতে পারব না।’ ওই সময় মেগান কোথায় আছেন তা নিয়েও তাঁর মধ্যে উদ্বেগ দেখা যায়। ভাইয়ের কাছে জানতে চান, ‘ও কি এখানে?  জবাবে ডিউক অব ক্যাম্ব্রিজ বলেন, ‘এখনো না।’

 

তবে শুধু উত্তেজিতই নয়, ভীষণ আবেগপ্রবণও ছিলেন হ্যারি। চার্চের দরজা থেকে মেগানকে হাত ধরে নিয়ে আসেন হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লস। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায় হ্যারিকে, ‘থ্যাংকস’ । এই নার্ভাসনেস নিয়েই মেগান সামনে আসার পর রাজপুত্র বলে ওঠেন, ‘তোমাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে।’

মেগানের অবস্থা অবশ্য হ্যারির একেবারেই বিপরীত । হাত-পা কাঁপাকাঁপির পরিস্থিতিতে একবারও পড়েননি তিনি। হ্যারিকে পাশে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় তিনি বুকে হাত দিয়ে বলে ওঠেন, ‘দারুণ মজা হচ্ছে।’ মেগানকে অবশ্য বিয়ে পড়ানোর সময় অনেকটা সময় হ্যারির হাতের ওপর হাত রেখে বসে থাকতে দেখা গেছে। যেন হবু স্বামীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন আত্মপ্রত্যয়ী মেগান।

বিয়ের দিন আরেকটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে চোখে পড়ে । তাঁরা কখনোই একে অন্যের দিকে অধোবদনে, লাজুক দৃষ্টিতে তাকাননি। পুরো অনুষ্ঠানে বহুবার তাঁদের চোখ পরস্পরকে ছুঁয়ে গেছে। প্রতিবারই পূর্ণদৃষ্টিতে তাকিয়েছেন তাঁরা। হাতে হাত রেখে যখন শপথ নেন তখনো পূর্ণদৃষ্টি, পূর্ণমন একে অন্যের ওপরই নিবদ্ধ ছিল।

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞ জুডি জেমস বলেন,‘হ্যারির এই নার্ভাসনেস একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ রাজপরিবারের যেকোনো অনুষ্ঠানে হ্যারি জোকারের ভূমিকা পালন করেন। নিজে হাসেন, সবাইকে হাসান। সেই হ্যারি যেন মেগানের কাছে আশ্রয় চাইছিলেন।’

কেআই/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি