কিমের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক হতেও পারে: ট্রাম্প
প্রকাশিত : ০৯:১৮, ২৬ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:১৩, ২৬ মে ২০১৮
একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা তা আর হচ্ছে না। কিন্তু এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখেই শোনা যাচ্ছে উল্টো কথা।
শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার যে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল- তা হয়তো হতেও পারে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখছি কি হয়, এমন কি ১২ তারিখেও এটা হতে পারে। আমরা এখন তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা খুব করে চাইছে এটা হোক, আমরাও এটা করতে চাই।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই ট্রাম্প ওই শীর্ষ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার `নগ্ন বৈরিতা`কে দায়ি করেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এর পরে বলে যে তারা `যে কোনও সময় যে কোনও ভাবে` এই বৈঠক করতে চায়।
এর পর ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখছি কি হয়, আমরা এখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। তারা একটা খুব সুন্দর বিবৃতি দিয়েছে। এর পর তিনি যোগ করেন, `এই খেলা সবাই খেলে।`
উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কাই-গোয়ান বলেছিলেন, ট্রাম্পের ওই শীর্ষ বৈঠক বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত দু:খজনক।
ট্রাম্প ওই শীর্ষ বৈঠক বাতিল করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা তাদের একমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রের টানেলগুলো ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে।
তবে সবশেষ ইতিবাচক খবরের ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেন, আমরা সম্ভভত কোরিয়া শীর্ষ বৈঠকের ব্যাপারে কিছু ভালো খবর পেয়েছি। আমাদের কূটনীতিকরা যদি ব্যাপারটা সম্ভব করতে পারে, তাহলে হয়তো সেটা হয়ে যেতেও পারে।
ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্ভাব্য পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করতে রাজী আছেন - এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে লিবিয়ার দৃষ্টান্ত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার পর উত্তর কোরিয়া ক্ষিপ্ত হয়।
উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা একটি পূর্ণ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ - লিবিয়া নয় এবং তাদের নেতৃত্ব বা রাষ্ট্র বিপন্ন হতে পারে এমন কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় তারা জড়িত হবে না।
সূত্র: বিবিসি
একে//
আরও পড়ুন