গর্ভপাতের অধিকার পেতে যাচ্ছে আইরিশ নারীরা
প্রকাশিত : ২৩:৫৫, ২৬ মে ২০১৮
৩৫ বছর পর গর্ভপাতের অধিকার পেতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ডের নারীরা। এ বিষয়ে আয়োজিত এক গণভোটে জয়ী হতে যাচ্ছে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া আন্দোলনকারীরা।
আয়ারল্যান্ডে ১৯৮৩ সালের এক আইন অনুযায়ী গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটির সংবিধানে আনা অষ্টম সংশোধনীতে গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শুধু গর্ভবতীর জীবনের ঝুঁকি ছাড়া কোন গর্ভপাত করানো হলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড রাখা হয় ঐ আইনে। তবে দেশটির নারীদের একটি বড় অংশই বিগত কয়েক বছর যাবত এই আইনের সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে দেশটির সংবিধান পরিবর্তনের জন্য গতকাল শুক্রবার এক গণভোটের আয়োজন করা হয় দেশটিতে।
দেশটিতে গর্ভপাত বৈধ হবে নাকি আগের মতো অবৈধ থাকবে সে বিষয়েই ভোট হয় গতকালের নির্বাচনে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার বিষয়টিই নির্বাচনে জয়লাভ করেছে জানিয়েছে আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। ভোট পরবর্তী এক জরিপেও এমন তথ্য পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে, আজ শনিবার সকালে গর্ভপাতের বিপক্ষে মত দেওয়া প্রধান একটি সংগঠন নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় মেনে নিয়ে বিবৃতি দেয়।
গর্ভপাতের পক্ষের এই জয়কে ‘নীরব বিপ্লব’ হিসেবে দেখছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাধকার। আজ শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “জনগণ তাদের রায় দিয়েছে। আর এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে, তাতে অষ্টম সংশোধনী হেরে যাবে। আমরা যা দেখছি তা হচ্ছে, বিগত কয়েক দশকে আয়ারাল্যান্ডে এক নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে”।
আর এই দিনটিকে আয়ারল্যান্ডের নারীদের জন্য ‘স্মরণীয় দিন’ বলছেন গর্ভপাতের পক্ষে প্রচারণা করা কর্মীদের মধ্যে অন্যতম ওরলা ও’কনর। গর্ভপাতের পক্ষে প্রচারণার জন্য চালু করা ‘ট্যুগেদার ফর ইয়েস’ নামক এক দলের সমন্বয়ক তিনি। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত আইরিশ নারীরা সমাজে তাদের অধিকারের জায়গা করে নিচ্ছে। দিনটি তাদের জন্য স্মরণীয়”।
আগামীকাল রবিবার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা জানায়, নির্বাচনে অন্তত ৬০ ভাগ ভোগ গর্ভপাতের পক্ষে এসেছে।
সূত্রঃ আল জাজিরা
//এস এইচ এস//এসি
আরও পড়ুন