উদ্ধারকারী জাহাজেই জন্ম নিল শিশু ‘মিরাকল’
প্রকাশিত : ২২:১৫, ২৭ মে ২০১৮
লিবিয়া থেকে সমুদ্র পথে ইতালি আসার পথে উদ্ধারকারী জাহাজেই জন্ম হয়েছে এক শিশুর। এই ছেলে শিশুটির নাম দেওয়া হয় ‘মিরাকল’ বা বাংলায় অলৌকিক ঘটনা। শিশুটির এই জন্ম নিয়ে ইতোমধ্যে ঝড় তুলেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। পাশাপাশি লিবিয়া ইস্যুতে নতুন করে উদ্বেগ জাগানিয়া বার্তা দিচ্ছে ঘটনাটি।
ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধারে কাজ করে অ্যাকোয়ারিয়াস নামের একটি জাহাজ। এই জাহাজটিতেই গতকাল শনিবার জন্ম হয় মিরাকল বয় এর। জাহাজটি যখন মিরাকল বয় এর জন্মদাত্রী মা’কে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে তখন তার অবস্থা আশংকাজনক ছিল বলে জানায় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
তবে বর্তমানে শিশু ও শিশুর মা দুই জনই সুস্থ আছেন বলে জানায় জাহাজে ধাত্রীর কাজ করা অ্যামোইন সোলেমান। শিশুটির ওজন ২ দশমিক ২ কেজি। এর আগেও এই জাহাজে অভিবাসীদের শিশু জন্ম নেওয়ার ঘটনা ঘটে। মিরাকল বয় এমন ষষ্ঠ শিশু বলে জানায় জাহাজটির মুখপাত্র লরেন কিং। তবে চলতি বছরে এটিই প্রথম শিশু জন্মের ঘটনা জাহাজটিতে। শিশুটিকে যখন জাহাজের ডেকে নিয়ে আসা হয় তখন সেখানে উপস্থিত সবাই নাচ আর গানে মেতে ওঠে।
বিগত কয়েক মাস যাবত বৈরি আবহাওয়ার কারনে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালী আসা উদ্বাস্তু মানুষের ঢল বেশ নিয়ন্ত্রণে ছিল। পাশাপাশি ইতালী কোস্টকার্ডের সহায়তায় লিবিয়ার কোস্টগার্ডও তাদের উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশী নৌকাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল। কিন্তু আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসায় সমুদ্রপথে ইতালী আসা মানুষজনের ঢল নতুন করে শুরু হয়েছে।
গত তিন দিনে বিভিন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ এবং ইতালীর কোস্টগার্ডের নৌযানগুলো অন্তত এক হাজার ৮০০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে। এরা সবাই সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করে।
অ্যাকোয়ারিয়াস জাহাজ কর্তৃপক্ষ মিরাকল বয়ের মা এর নাম প্রকাশ না করে জানায়, “লিবিয়া থাকার সময় তাকে জোর করে আটকে রাখে একটি গোষ্ঠী। এসময় তার ওপর প্রচুর নির্যাতন করা হয়। সামান্য পরিমাণে খাবার দেওয়া হতো। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার একটি রাবারের নৌকায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় সে”। তার সাথে আরও ৬৮ জন অভিবাসী ছিলেন বলে জানায় অ্যাকোয়ারিয়াস।
এসএইচএস/এসি
আরও পড়ুন