ট্রাম্পের সঙ্গে কিম কার্দিসানের সাক্ষাৎ যে কারণে
প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ৩১ মে ২০১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন টিভি তারকা কিম কার্দিসান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন কিম। এসময় মাদক আইনে দেশটিতে বিদ্যমান সাজা ও বন্দীদশার সংস্কারের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন কিম।
সাক্ষাতের বিষয়ে ট্রাম্প ও কিম দুই জনই আলাদা আলাদাভাবে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ওভাল অফিসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিমের একটি ছবিযুক্ত টুইট করেন। তিনি লেখেন, “কিম কার্দিসানের সঙ্গে ভালো একটি সাক্ষাৎ হলো আজ। জেল সংস্কার ও সাজার মেয়াদ নিয়ে আমরা কথা বলেছি”।
আর কিম এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আজকের (বুধবার) বিকেলের জন্য। আমরা আশা করি যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অ্যালিস ম্যারির সাজা মওকুফের আবেদন গ্রহণ করবেন। অ্যালিস তাঁর জীবনের প্রথম অ-বিধ্বংসী মাদক মামলায় সাজা ভোগ করছেন”।
গতকালের এ সাক্ষাতের সময় ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। এদের মধ্যে ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ্য উপদেষ্টা জ্যারেড কাশনারও উপস্থিত ছিলেন।
কিম কার্দিসান অ্যালিস ম্যারি নামের এক বন্দীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যালিস ম্যারি নামের ওই বন্দী মাদক মামলায় আজীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে কারাভোগ করছেন। অ্যালিসকে মুক্তির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান থাকা জেলবন্দী আইন এবং কঠোর মাদক বিরোধী আইন লাঘব করনেও প্রচারণা চালাচ্ছেন কিম কার্দিসান।
প্রশঙ্গত, গতকাল বুধবার অ্যালিস ম্যারির জন্মদিন ছিল। জন্মদিনে অ্যালিসের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তাও দেন কিম। মাদক মামলায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে বন্দী আছেন অ্যালিস।
এদিকে কার্দিসান যখন হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেন তখন তাঁকে তুলনামূলকভাবে বেশি ‘খাতির’ করা হয়েছে বলে নিজেদের সংবাদে প্রকাশ করে সিএনএন। সেখানে বলা হয়, হোয়াইট হাউজে আগত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাধারণত প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বের হয়ে একটি নির্দিষ্ট দরজা পর্যন্ত হেটে যেতে হয়। তারপর সেখান থেকে নিজেদের গাড়িতে ওঠেন অতিথিরা। কিন্তু কিমের বেলায় এই প্রথার ব্যত্তয় ঘটানো হয়। ট্রাম্পের অফিসের বাইরেই অপেক্ষমান ছিলো কিমের গাড়িটি।
সূত্রঃ সিএনএন
//এস এইচ এস// এআর
আরও পড়ুন