গুয়াতেমালায় অগ্নুৎপাতে মৃতের সংখ্যা ৬২ ছাড়িয়েছে
প্রকাশিত : ১১:০০, ৫ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১১:০৪, ৫ জুন ২০১৮
গুয়াতেমালায় ফিউগো আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেকেই নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে।
দেশটিতে ফিউগো আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতকে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। গত রোববার দেশটির ফিউগো নামক পাহাড়ী এলাকায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নুৎপাতের ফলে শত শত বাড়ি পুড়ে ভস্ম হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। আগ্নেয়তাত্ত্বিকরা বলছেন, বহির্মুখী লাভার মধ্য দিয়ে ১০ কিলোমিটার (৩৩ হাজার ফুট) উপর দিয়ে ছাঁই ও ভস্ম গিয়ে উড়ে পড়ছে। এতে আকাশ থেকে গরম গ্যাস বায়ুর সঙ্গে মিশে তাপমাত্রা মারাত্মক প্রতিকূলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে লাভা থেকে বেরিয়ে আসা ছাই-ভস্ম যেখানে গিয়ে পড়ছে, সেটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
ইউফেমিয়া গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত থেকে গরম ভস্ম থেকে বেঁচেছেন। তিনি জানান, ‘দুই সন্তানকে তিনি জীবিত পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও এক নাতিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বিবিসিকে বলেন, আমি এই জায়গা ছাড়তে চাই না। কিন্তু আমাকে ছাড়তে হবে। আমি আমার সন্তানদের জন্য কিছুই করতে পারছি না।’
এদিকে উদ্ধারকারী দলের কর্মী জর্জ লুইস আলটুবে জানান, গুয়াতেমালায় পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের হার ক্রমেই বেড়ে চলছে। তিনি আরও জানান, আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পাথর বৃষ্টির মতো তাদের মাথায় ও শরীরে এসে পড়ছে।
এদিকে আগ্নেয়গিরি থেকে উত্তপ্ত গ্যাস-ছাই বেরিয়ে আসায় বাতাসে দূষিত বায়ু ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ অবস্থাকে পাইরোক্ল্যাসটিক ব্লো বলা হয়। এটি মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই ধরণের পাইরোক্ল্যাসটিক ব্লো থেকে বাঁচতে সবাইকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আহ্বান করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/
আরও পড়ুন