৩৫-এর পরীক্ষায় পেয়েছে ৪০!
প্রকাশিত : ১৫:২৬, ১০ জুন ২০১৮
প্রতীকী ছবি
ফের সমালোচনার মুখে ভারতের বিহার রাজ্যের শিক্ষা বোর্ড। দু’বছর আগে শীর্ষ স্থানাধিকারী রুবি রাইকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল বোর্ড। এবার ফের নম্বর ইস্যুতেই বিতর্কে জড়িয়েছে তারা। অভিযোগ উঠেছে, দু’জন ছাত্র মোট নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করেছে পরীক্ষায়। কেউ কেউ আবার এও অভিযোগ তুলেছে, মার্কশিটে তাদের এমন বিষয়ে নম্বর এসেছে যা তারা নেয়নি।
বোর্ডের এক পরীক্ষার্থী অঙ্কে (ব্যাখ্যামূলক) ৩৫-এর মধ্যে ৩৮ নম্বর পেয়েছে। তার নাম ভীম কুমার। আরওয়াল জেলায় থাকে সে। অবজেকটিভ প্রশ্নে সে ৩৫-এর মধ্যে পেয়েছে ৩৭ নম্বর। ভীম কুমার জানিয়েছে, আমি অবাক। কারণ বহুদিন ধরে রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষায় এমন ঘটনা ঘটছে। একই ঘটনা ঘটেছে সন্দীপ রাজের ক্ষেত্রেও। সে পূর্ব চম্পারনের বাসিন্দা। ৩৫-এ মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বরও ৩৮। তবে অঙ্কে নয়। তার এমন মার্কস এসেছে পদার্থবিদ্যায়।
তার বক্তব্য, সে মাতৃভাষা ও ইংরাজিতে শূন্য পেয়েছে। অথচ পদার্থবিদ্যায় পেয়েছে ৩৮। এটা কী করে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন সন্দীপ। দ্বারভাঙার রাহুল কুমার জানিয়েছেন, ৩৫ এর মধ্যে ৪০ পেয়েছে সে। আর তাও অঙ্কের অবজেকটিভ পেপারে। জাহ্নবী সিং নামে বৈশালীর এক পরীক্ষার্থী জানিয়েছে, সে কখনও বায়োলজি পরীক্ষা দেয়নি। তা সত্ত্বেও সে সেই বিষয়ে ১৮ নম্বর পেয়েছে। পাটনার রামকৃষ্ণ দ্বারিকা কলেজের সত্য কুমারের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনার পর রেজাল্ট নিয়ে ফের একবার বিতর্কে জড়াল বিহার স্কুল বোর্ড। ২০১৬ সালে বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল রুবি রাই। সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে হোমসায়েন্স বলে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল সে। এও বলে, সেই বিষয়টিতে নাকি রান্নাবান্না নিয়ে পড়ানো হয়। রুবির এমন মন্তব্যের বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞ কমিটি পরে রুবির পরীক্ষা নেন। দেখা যায়, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারীর ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞানটুকুও নেই। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় রুবি রাইকে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
একে//
আরও পড়ুন