ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সৌদিকে ইসলামপন্থা থেকে বের করতে চান সালমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৪, ২৫ জুন ২০১৮

নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ইসলামী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজের মতো করে ধর্মীয় আইন জারি করতে চাইছে সৌদির যুবরাজ প্রিন্স সালমান। সম্প্রতি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া, দেশটিতে সিনেমা হল খুলে দেওয়া, উন্মুক্ত কনসার্ট আয়োজন করাসহ নানা সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন সালমান। তবে তার হঠাৎ বদলে যাওয়াকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অংশ হিসেবে মনে করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের যুবরাজ হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার এক বছর পূর্তি করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বার্তা সংস্থা এএফপির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই এক বছরে যুবরাজ এমন সব পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা রক্ষণশীল সৌদি আরবকে স্রেফ ঝাঁকুনি দিয়েছে। তাঁর হাত ধরেই পরিবর্তনের পথে হাঁটছে দেশটি।

কিন্তু এই পরিবর্তন আসলে কী রকম? ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একমাত্র লক্ষ্য হলো নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখা। এ জন্যই তিনি ধর্মীয়ভাবে গোঁড়া ও প্রগতিশীল—এই দুই পক্ষকেই চাপে রাখছেন।

এত দিন সৌদি শাসকেরা দেশটিতে কড়া ধর্মীয় অনুশাসন জারি রাখার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই এই নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনছেন। তাঁর নেওয়া বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো কট্টর ধর্মীয় নেতাদের কোণঠাসা করা। এ জন্য তাঁদের জেলেও পোরা হচ্ছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, বর্তমানে যে সংস্কার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, তার লক্ষ্য হলো আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি শাসকেরা এখন বলছেন, ওয়াহাবিবাদ বলতে কিছু নেই। যদিও কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ওয়াহাবিবাদের প্রচারের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করত সৌদি আরব।

ইকোনমিস্ট বলছে, সৌদি যুবরাজ মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘বিপদ’ বলে মনে করেন। আরব বিশ্বে ব্রাদারহুডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে মনে করা হয় কাতারকে। ঠিক এ কারণেই তিন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। দেশটির ওপর আরোপ করা হয়েছে অবরোধ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিন সালমানের এখন তিন শত্রু—ইরান, ইসলামিক স্টেট ও মুসলিম ব্রাদারহুড। এদিকে তিন শত্রুর বাইরে রয়েছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এই পাঁচ শত্রুকে কোণঠাসা করতে প্রয়োজন সৌদি আরবে কট্টরপন্থা ইসলামকে দমন করা। এর মাধ্যমে দেশটিতে ব্রাদারহুডসহ কট্টরপন্থী মানুষকে কোণঠাসা করার মাধ্যমে কার্যত নিজের ক্ষমতাকেই পোক্ত করতে চাইছেন তিনি।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি