ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

চীনের যে সেতুটি দিয়ে বানানো যাবে ৬০টি আইফেল টাওয়ার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪০, ২৮ জুন ২০১৮

হংকং, ম্যাকাও ও মেনল্যান্ড চিনকে সংযুক্ত করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র-সেতু বানাল চীন। এই সেতু বানাতে কত টন ইস্পাত লেগেছে শুনলে চোখ কপালে উঠবে। কী বিশেষত্ব এই সেতুর? কতটাই বা এর দৈর্ঘ? জানতে চান?

চীন থেকে এবার কম সময়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাবে হংকং বা ম্যাকাও। সৌজন্যে এই সমুদ্র-সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ প্রায় ৫৫ কিলোমিটার (৩৪ মাইল)।

চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেতুটি বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ৯ বছর। প্রায় ৪ লক্ষ ২০ হাজার টন ইস্পাত দিয়ে বানানো সেতুটি নাকি কোনও রকম মেরামতি ছাড়াই আগামী ১২০ বছর ব্যবহার করা যাবে।

হংকং থেকে দক্ষিণ চীনের ঝুহাই শহরকে সংযুক্ত করেছে সেতুটি। সেতু পেরিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ম্যাকাও। তাছাড়া, সেতুটি ব্যবহার করে খুব কম সময়ে পার হওয়া যাবে পার্ল নদীর মোহনা।

প্রকল্পটির মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার জাও ইয়ংগ্লিনের কথায়, সেতুটি বানাতে যত ইস্পাত লেগেছে তা আইফেল টাওয়ারেরও ৬০ গুণ বেশি। আমেরিকা, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, জাপান এবং নেদারল্যান্ডসসহ ১৪টি দেশের দক্ষ কারিগরদের চেষ্টায় সেতুটির নির্মাণ করা হয়।

সমুদ্রের নীচে ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার টানেল বানাতেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন জাও ইয়ংগ্লিন। তিনি বলেছেন, ৮০ হাজার টন পাইপ পর পর জুড়ে সর্বাধুনিক ‘ওয়াটারটাইট টেকনোলজি’ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে সেতুটি।

সেতুটি বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি ইউয়ান। সূত্রের খবর, প্রতিদিন আনুমানিক ৪০ হাজারেরও বেশি গাড়ি যাতায়াত করবে সেতুটির উপর দিয়ে।

২০১৭ সালেই সেতুটি উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে নানা কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। কবে সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

সেতুটি তৈরির সময়েই ১৯ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। চীনের সরকারি গণমাধ্যম সূত্রে খবর, সমুদ্র সেতুটির পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তার দিকটি বর্তমানে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। পুরোপুরি সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই সেতুটির উদ্বোধন করা হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি