ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যে ৯টি কাজ করতে পারেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৯, ৩০ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১১, ৩০ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট চাইলেও কিছু কাজ করতে পারেন না। যদিও কাজগুলো দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালে একজন ব্যক্তি এমন কিছু কাজ করতে পারেন না যা আসলেই খুব স্বাভাবিক কাজ। মূলত,নিরাপত্তার জন্যই এসব কাজ করতে বাধা দেওয়া হয় তাদের। এমন কাজগুলো হলো-

১) বন্ধুদের সঙ্গে যখন তখন ফোনে গসিপ

বন্ধুদের সঙ্গে যখন তখন ভয়েস কল বা ভিডিও কল দিয়ে আড্ডা মারতে পারেন না একজন প্রেসিডেন্ট। শুধুমাত্র নিরাপদ ফোন লাইনে তারা কথা বলতে পারেন। আর তার জন্য আগে থেকেই সিক্রেট সার্ভিসকে জানিয়ে নিতে হয়। ওই ফোন লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরেই ফোন দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট।

২) হলে গিয়ে সিনেমা দেখা

কোনোভাবেই হলে গিয়ে আয়েশ করে বসে সিনেমা দেখতে পারবেন না যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট। তার কোনো সিনেমা দেখতে হলে বড়জোর হোয়াইট হাউসে সিনেমার কপি এনে দেখা যেতে পারে।

৩) রেস্টুরেন্ট খেতে যাওয়া

রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়াটা একেবারেই নিষেধ নয়, তবে এটা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। সিক্রেট সার্ভিসকে অনেক আগেই জানিয়ে দিতে হয় প্রেসিডেন্ট অমুক জায়গায় যেতে চান। সে রেস্টুরেন্টকে নিরাপদ করে তুলতে সময়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়া একজন ‘ফুড টেস্টার’ থাকতে হয় সে জায়গায়, যাতে প্রেসিডেন্টের খাবারে কেউ বিষ মিশিয়েছে কিনা তা বোঝা যায়।

৪) গাড়ি চালানো

কোনোভাবেই নিজের গাড়ি নিজে চালাতে পারবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তার গাড়ির দায়িত্বে থাকবেন এমন এক চালক যার জরুরি অবস্থা মোকাবেলার প্রশিক্ষণ আছে।

৫) নিজ সন্তানের স্কুলের কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া

প্রেসিডেন্টদের ছোট সন্তান বা নাতি-নাতনি থাকতে পারে। তারা স্কুলে পড়াশোনা করলে তার বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে পারে। সেসব অনুষ্ঠানে বাকি শিশুদের অভিভাবকরা গেলেও প্রেসিডেন্ট যেতে পারেন না। প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির জন্য যে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তা অকল্পনীয়। এ কারণে তা সাধারণত করেন না প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, অনেক প্রেসিডেন্টের সন্তান হোয়াইট হাউসেই পড়াশোনা করে থাকে।

৬) প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার

প্রযুক্তির ব্যবহার প্রেসিডেন্টের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করে সিক্রেট সার্ভিস। এ কারণে সম্প্রতি প্রেসিডেন্টদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির ওপর নজরদারি করা হচ্ছে, যেমন প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্ল্যাকবেরি এবং ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট।

এমনকি এটাও জানা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউকে ব্লক করতে পারবেন না প্রেসিডেন্ট!

৭) বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার

সাধারণ এয়ারলাইন্সের বিমান ব্যবহার এমন একটি কাজ যার অনুমতি নেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।তিনি শুধুমাত্র এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই বিমান এতই বিলাসবহুল ও আরামাদায়ক যে, তার আসলে অন্য কোনো বিমান ব্যবহারের দরকার হয় না।

৮) জানালা খোলা রাখা

বাইরে মিষ্টি বাতাস বইছে, এমন সময় জানালা বন্ধ রাখে কেউ? কোনোভাবেই জানালা খোলা রাখতে পারবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের জানালা বা প্রেসিডেন্টকে বহনকারী গাড়ির জানালার জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য।

৯) নিজের অফিস পরিষ্কার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজের অফিস পরিষ্কার করতে পারেন না। তিনি পুরনো চিঠি, কাগজপত্র, এমনকি ই-মেইল ফেলে দিতে পারেন না। এ সবই যত্ন করে গুছিয়ে রাখার নিয়ম প্রচলিত।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট চাইলে এ সব নিয়মই ভাঙতে পারেন। কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট! সিক্রেট সার্ভিস প্রেসিডেন্টকে উপদেশ দিতে পারে, অনুরোধ করতে পারে, নিষেধও করতে হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা প্রেসিডেন্টেরই কর্মচারী। প্রেসিডেন্ট খুব চাইলে এ সব নিয়ম ভাঙতে পারবেন, কিন্তু তারা সাধারণত এ কাজগুলো করেন না এবং সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তার নিয়মগুলো মেনে চলেন।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

কেআই/ এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি