ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

মানবিক কারণে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হবেন ভারতীয় মহিলা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৭, ১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১০:১১, ২ জুলাই ২০১৮

ভারতে শিশু পাচার রুখতে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল পার হবেন এক ভারতীয় বংশদ্ভূত মহিলা৷ যুক্তরাষ্ট্রে বহুজাতিক ব্যবসার মালিক লিয়া চৌধুরী বর্তমানে ইংলিশ চ্যানেল পার করার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ পপ আপ, পার্টি এন্ড প্লে নামের একটি প্রফেশনাল চাইল্ডকেয়ার সার্ভিস চালান লিয়া চৌধুরী৷

বুধবার ডোভার থেকে ৩৫ কিলোমিটার কঠোর সাঁতার কেটে ফ্রান্সের কালাইসে পৌঁছাবেন লিয়া চৌধুরী৷ তাঁর উদ্দেশ্য, প্রিন্স চার্লস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি ব্রিটিশ এসিয়ান ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা৷ ভারতীয় বংশদ্ভূত এই মহিলা বলেন, ‘‘এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান মহিলা হয়ে আমি গর্বিত৷ ১৫০০ থেকে একটু কম সংখ্যক মানুষ এই সাঁতারটি সম্পূর্ণ করতে পেরেছে৷ এই যাত্রাটি সম্পূর্ণ করতে রাত ও দিন মিলিয়ে মোট ১৩ ঘন্টা সময় লাগে৷    

জানা গিয়েছে, এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী হবেন তার পরিবার ও বন্ধুরা৷ তারা একটি সাপোর্ট বোট নিয়ে তাঁর পাশে পাশে চলবে৷ কিন্তু, চ্যানেল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী, এই চ্যালেঞ্জটি চলাকালীন তিনি কোনও মানব সংস্পর্শে আসতে পারবেন না৷ ভারতে পাচার ও শোষণের হাত থেকে দুর্বল শিশুদের রক্ষা করতে এবং দেশের অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল শিশুদের উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে সাহায্য করতে চান লিয়া চৌধুরী৷ তাই এই চ্যালেঞ্জটি সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে বিগত ছয় মাস ধরে কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি৷ ইতিমধ্যেই তিনি ৩৫ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ সংগ্রহ করে ফেলেছেন৷

অনুমানিক, ভারতে প্রায় ১.২ মিলিয়ন শিশুকে ব্যবসায়িক যৌন শোষণের শিকার হতে হয়৷ ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের ভারতীয় অংশীদার প্রিরানা শিশুদের জন্য তিনটি রাত্রিকালীন পরিষেবা কেন্দ্র পরিচালনা করে৷ এ ছাড়া, আশ্রয় বাড়ি এবং পাচারের ব্যবসা থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের জন্য একটি রেসিডেন্ট ট্রেনিং সেন্টারও রয়েছে প্রিরানার৷

শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অত্যাচার রুখতে ভারতের প্রথম অনলাইন রিসোর্স সেন্টার এবং ভালো ভবিষ্যৎ তৈরির লক্ষ্যে ১৫ বছরের উর্ধ্বে ৮০টি মেয়ের জন্য একটি পুনর্বাসন পরিষেবা প্রোগ্রাম তৈরিতে সাহায্য করবে সাম্প্রতিক এই প্রকল্পটি৷ এ ছাড়া, গরিব শিশুদের উন্নত শিক্ষা দিতে এই ট্রাস্ট এডুকেশন অ্যালায়েন্সের সঙ্গেও কাজ করছে৷

গত ফেব্রুয়ারি মাসে লিয়া চৌধুরী ভারতে এসেছিলেন অংশীদার অর্গানাইজেশন পরিদর্শন করতে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছু শিশুদের প্রশ্ন করি, তারা বড় হয়ে কী হতে চায়? তারা আমায় উত্তরে বলে ‘একজন ফুটবলার বা ‘একজন চিকিৎসক৷ বহু কষ্ট সত্ত্বেও তারা যে এত ইতিবাচক, এটাই আমাকে আমার প্রশিক্ষণে আরও বেশি উৎসাহ দিয়েছে।

টিআর/এসি 

  


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি