ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্য দাবানলে ঘরছাড়া দুই হাজার মানুষ
প্রকাশিত : ১২:৩৫, ৮ জুলাই ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলের নিকটবর্তী বনাঞ্চলে দাবানল ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এসব এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। ইতোমধ্যে আক্রান্ত এলাকাগুলোয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একই ঘটনায় প্রায় দুই হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
‘দ্য হলিড ফায়ার’ নামের এই দাবানল থেকে প্রায় ৩০টি অগ্নিমুখ তৈরি হয়। এতে দাবানল ছড়িয়ে পরে গোলেটা, ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ সান্তা বারবারা এবং উপকূলীয় পাহাড়ি অঞ্চলে। দাবাচলের সাথে উচ্চ গতির বাতাস থাকায় খুব দ্রুত তা লোকালয়ের খুব কাছে চলে আসে। তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় একশ ডিগ্রী এরও উপরে। এতে ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি।
দাবানলের ঘটনায় ইতোমধ্যে বিদ্যুতহীন অবস্থায় আছে আরও প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। জরুরী অবস্থা জারি করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থ বরাদ্ধ করেছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন।
সান্তা বারবারার স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, দাবানল মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত ৩৫০ জন দমকলকর্মী কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে প্রায় ৮০ একর বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
সান্তা কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র মাইক এলিয়াসন বলেন, “এটা ছোট একটা আগুন ছিল কিন্তু বাতাসের কারণে তা বড় রূপ ধারণ করে। আমরা আজকের মধ্যে এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে জোর অভিযান পরিচালনা করব”। তবে আজ রবিবার বিকেলে তাপমাত্রা বাড়লে বাতাসের গতি আবারো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে জানান মাইক।
যুক্তরাষ্ট্রে বনাঞ্চলে আগুন থেকে দাবানল ছড়িয়ে পরা অনেকটাই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। দেশটির ন্যাশনাল ইন্টারজেন্সি ফায়ার সেন্টারের এক তথ্যমতে, বিগত ১০ বছরে গড়ে প্রতি বছর প্রায় দুই দশমিক চার মিলিয়ন একর এলাকা দাবানলে পুড়ে যায়। তবে চলতি বছরে দাবানলে এখন পর্যন্ত এই গড় পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় দুই দশমিক নয় মিলিয়ন একর পরিমাণ এলাকা দাবানলে পুড়ে যায়।
সূত্রঃ রয়টার্স
//এস এইচ এস// এআর
আরও পড়ুন