যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পদত্যাগ: বিপাকে তেরেসা মে
প্রকাশিত : ১০:৫৬, ৯ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩৫, ৯ জুলাই ২০১৮
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার দু’দিনের মাথায় ডেভিস পদত্যাগ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতদ্বৈততার জের ধরেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসা নিয়ে বহুদিন ধরেই দেশটিতে মতবিরোধী তুঙ্গে। এই নিয়ে গণভোটে হেরে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমনন্ত্রীও পদত্যাগ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া তেরেসা মে সম্প্রতি বেক্সিট নিযে যেই পরিকল্পনা নিয়েছেন সেটিকে দুর্বল বলে সমালোচনা করছেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাই।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দর কষাকষির দায়িত্ব দিয়ে ডেভিড ডেভিসকে ২০১৬ সালে মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেন তেরেসা মে।
স্থানীয় সময় রোববার ডেভিসের পর তার দফতরের উপমন্ত্রী স্টিভেন বেকারও পদত্যাগ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে ডেভিসের এই পদত্যাগ সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে এল।
পদত্যাগপত্রে ডেভিস লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মে যে নীতি আর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে পারবে বলে তার মনে হচ্ছে না। ডেভিস লিখেছেন, তাকে যেভাবে দরকষাকষি করতে বলা হচ্ছে এতে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা নিয়ে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
জবাবে তেরেসা মে লিখেছেন, শুক্রবার মন্ত্রিসভার সম্মতি পাওয়া প্রস্তাবকে যে ভাষায় ডেভিস বর্ণনা করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত নন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডেভিস সরে যাওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে দায়িত্ব তিনি এতদিন পালন করেছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করবেন না।
সোমবার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগ মুহূর্তে মন্ত্রীর পদত্যাগ তেরেসা মে মে সমালোচনার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, এই সঙ্কটময় মুহূর্তে মন্ত্রিসভা থেকে ডেভিসের বেরিয়ে যাওয়া তেরেসা মের ব্রেক্সিটকে হুমকির মুখে ঠেলে দিল। তেরেসা মের ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এই বিচ্ছেদকেই বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট, যা ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করতে দুই পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে।
সূত্র : বিবিসি।
/ এআর /
আরও পড়ুন