ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

তেরেসা মে ও ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ কোন দিকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪১, ১০ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৮, ১১ জুলাই ২০১৮

পরপর দুই সিনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তেরেসা মে নিজে কতদিন ক্ষমতায় টিকে যেতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিট ডেভিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বিদায় নেবার পর কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা তার সামনে আরও বাধা সৃষ্টি করবে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তার ওপর মন্ত্রিসভা ও রক্ষণশীল দলের মধ্যে বিশাল বিভাজনও প্রধানমন্ত্রীর কাজ আরও কঠিন করে তুলছে৷ দলের ইউরোপপন্থি কিছু নেতা শুধু থেরেসা মে`র অবস্থানের প্রশংসা করেছেন৷ সোমবার সংসদেও মে নিজের অবস্থানের পক্ষে জোরালো সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন৷

দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আদৌ কোনো স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন৷ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে গণভোটের প্রায় দুই বছর পর তিনি বলেন, এই সময়কালে তিনি জাতীয় স্তরে জোরালো বিতর্কের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে এসেছেন৷ ইইউ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বদলে কিছু ক্ষেত্রে এই রাষ্ট্রজোটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কই সঠিক পথ বলে তিনি মনে করেন৷ অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ইইউ`র সদস্য না থেকেও অনেক বিধিনিয়ম মেনে চলতে প্রস্তুত তিনি৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার এই ‘সফট` ব্রেক্সিটের প্রস্তাব গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হলে তিনি নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়বেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ মে নিজে ইইউ`র উদ্দেশ্যে নমনীয় অবস্থানের ডাক দিয়েছেন৷

সোমবারই থেরেসা মে ব্রেক্সিট মন্ত্রী হিসেবে ডমিনিক রাব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টকে নিযুক্ত করেছেন৷ রাব ব্রেক্সিটপন্থি হলেও হান্ট গণভোটের সময়ে ইইউ-তে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন৷ এর ফলে কট্টরপন্থি ও নরমপন্থিদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে বলছেন, এর ফলে জনগণের রায় অগ্রাহ্য করা হচ্ছে৷ ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার বদলে থেরেসা মে ‘আধা-ব্রেক্সিট`-এর পথে এগোচ্ছেন৷ ফলে আলোচনায় ব্রিটেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে তারা সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ তাছাড়া ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ইইউ`র সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্ভব না হলে তারও প্রস্তুতি স্থগিত রাখছেন মে৷


ইইউ ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি৷ ইউরোপীয় কমিশন দেশ হিসেবে ব্রিটেনের সঙ্গে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী৷

ইইউ কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার সপ্তাহান্তে থেরেসা মে`র সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন৷ তার মুখপাত্র বলেন, আলোচনার জন্য ইইউ`র দ্বার ২৮ ঘণ্টা খোলা রয়েছে৷ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় লেখেন, রাজনীতিকরা আসে-যায়, কিন্তু তারা মানুষের জন্য যে সমস্যা সৃষ্টি করে যায়, তা থেকে যায়৷ এমনকি ডেভিস ও জনসনের বিদায়ের পর ব্রেক্সিটের আইডিয়া আদৌ কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন টুস্ক৷

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি